জীবন-যাপন
প্রাণী অধিকারকর্মীর দাবি, মশা না মেরে রক্ত খেতে দেওয়া উচিত!
'ভবিষ্যৎ সন্তানদের পালনের চেষ্টা করছে এমন এক মায়ের ওপর হামলা নিষ্ঠুরতা'
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়ার মতো জীবাণু বহনকারী মশা প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ। চলতি বছরে ডেঙ্গুর কারণে বাংলাদেশে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিবছর বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় মশার কামড়ে। মশা নিয়ে সবার শঙ্কার শেষ নেই। তবে ফরাসি প্রাণী অধিকারকর্মী অ্যামেরিক ক্যারনের দৃষ্টিভঙ্গিটা বেশ ভিন্ন। তিনি বলেছেন, মশাদের না মেরে, তাদেরকে রক্ত দান করা উচিৎ।
ক্যারনের দাবি, “পোকা-মাকড় তাদের ডিমের জন্য প্রোটিন সংগ্রহ করতে মানুষের রক্ত খায়। তাই ভবিষ্যৎ সন্তানদের পালনের চেষ্টা করছে এমন এক মায়ের ওপর হামলা নিষ্ঠুরতা।”
তিনি বলেন, “সন্তানদের জন্য একটি মা মশাকে নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।”
ক্যারন বলেন, “পশুপ্রেমীদের পোকা-মাকড়ের কামড় খাওয়া উচিৎ।” তবে তালিকা থেকে আফ্রিকাকে বাদ রেখেছেন তিনি। কারণ, সেখানে মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট’র খবরে বলা হয়, মশা না মারতে আরও উপায়ের কথা বলেছেন এই পশুপ্রেমী। একান্তই যদি মশাদের রক্ত দিতে প্রস্তুত না থাকে কেউ তাহলে রসুনসহ প্রাকৃতিক বিভিন্ন জিনিসের ব্যবহার করতে বলেছেন তিনি। এগুলো মশাদের দূরে রাখে বলে জানান ক্যারন।
তবে ক্যারনের এই ধরনের পরামর্শের সঙ্গে মত মেলাতে পারেননি অনেকেই। ‘অ্যানিম্যাল ইকুইটি’ নামের একটি প্রাণিকল্যাণ দলের যুক্তরাজ্যের প্রধান টনি ভারনেলি তাদেরই একজন।
টনি বলেন, ম্যালেরিয়া বহনকারী পরজীবী প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ। মশা নিয়ে এধরনের পরামর্শ আসলেই বর্তমান সময়ের জন্য না। এরচেয়ে মাংস না খাওয়া এবং প্রাণিদেহের অংশ দিয়ে তৈরি পণ্য ব্যবহার বর্জনের দিকে সবার নজর দিতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে সারা বিশ্বে ম্যালেরিয়ায় ২১৯ মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত হয়। আর এতে মৃত্যু হয় প্রায় পাঁচলাখ মানুষের।
চলতি বছরে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু বাংলাদেশে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে ৬৪ জেলাতেই আক্রান্ত হয়েছে ২২ হাজার ৯১৯ জন। সরকারি হিসাবে শনিবার (৩ আগস্ট) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৯ জন। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
/আরএম