ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ জন্মনিয়ন্ত্রণের অনেক পদ্ধতি এখন প্রচলিত রয়েছে। ওষুধ সেবন কিংবা দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন ওষুধ সেবন কিংবা দীর্ঘমেয়াদি কোনো পদ্ধতি ছিল না।
বলছিলাম প্রাচীনকালের কথা। তবে প্রশ্ন হলো তখন কীভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা হতো?
আসুন জেনে নেই প্রাচীনকালে জন্মনিয়ন্ত্রণের ৬ পদ্ধতি-
১. চীনে গর্ভধারণ এড়ানোর জন্য পারদ আর তেলের মিশ্রণ পান করা হত। খালি পেটে নারীদের এ মিশ্রণ খাওয়ানো হতো। চীনাদের মতে, এভাবে অসময়ে গর্ভধারণ এড়ানো যেত। কিন্তু বর্তমানে সবাই জানেন, হাড় আর দেহের জন্য পারদ কতটা ক্ষতিকর।
২. গ্রিনল্যান্ডে মনে করা হতো নারীদের গর্ভবতী হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান চাঁদের। আর তাই গর্ভধারণ এড়াতে তারা চাঁদকেই এড়িয়ে চলত।
৩. মধ্যযুগে অযাচিত গর্ভধারণ রোধ করতে যৌনমিলনের পূর্বে নারীদের ঘরের বাইরে গিয়ে কোনো নেকড়ের মূত্র ত্যাগ করার স্থানের ওপর মূত্র ত্যাগ করতে হতো। কিংবা ঘুরে আসতে হতো কোনো গর্ভবতী নেকড়ের মূত্রত্যাগের স্থান থেকে।
৪. আমেরিকায় ১৯০০ এর প্রথম দিকে যখন জন্মনিয়ন্ত্রণ বৈধ হয়নি সেসময় বাজারে লাইসল নামে একটি পণ্য বের করা হয়। যেটি নারী দেহের ভেতরে গিয়ে খানিকটা অংশ জ্বালিয়ে দিবে আর নিরাপদভাবে নিশ্চিত করবে জন্মনিয়ন্ত্রণ। তবে, যতই নিরাপদ বলা হোক না কেন, এটি ব্যবহারে অনেকেই আহত হন। এমনকি মৃত্যুও হয় পাঁচজনের।
৫. প্রাচীন গ্রিসে পুরুষেরা অলিভ অয়েল আর সিডারের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতেন। কারণ, মনে করা হতো এটি শুক্রাণুকে দুর্বল করে দেয়। যা নারীকে গর্ভবতী হওয়া থেকে বিরত রাখে।
৬. প্রাচীন মিশরে গর্ভধারণ এড়াতে ব্যবহার করা হতো মধু। তবে পুরুষ নয়, নারীরা ব্যবহার করতেন এটি। মনে করা হতো মধুর প্রলেপ থাকলে পুরুষের শুক্রাণু নারী দেহের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না।
/আরএইচ