দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
প্রস্তুত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের ২টি টিউব
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: পুরোদমে এগিয়ে চলেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের কাজ। ইতোমধ্যে টানেলের আটাশি শতাংশেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণ হতে যাওয়া টানেলের মূল অবকাঠামোর দুটি টিউবই পুরোপুরি প্রস্তুত। অক্টোবর শেষের দিকে টিউবের একটি অংশ খুলে দেয়া হবে। সেই সঙ্গে ডিসেম্বরে পুরো যান চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
স্বপ্নের এ টানেল চালু হলে কর্ণফুলী নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে চীনের সাংহাইয়ের মতো ওয়ান সিটি টু টাউন। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কক্সবাজার ও দক্ষিণ চট্টগ্রামগামী গাড়িগুলোকে আর নগরীতে ঢুকতে হবে না। সিটি আউটার রিং রোড হয়ে টানেলের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। ফলে চট্টগ্রাম নগরে যানবাহনের চাপ কমবে। টানেলকে ঘিরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে।
কর্নফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন টানেলের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। তবে টানেলের প্রকল্প ব্যয় আরও ৭শ’ কোটি টাকা বাড়ছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র স্ক্যানার কেনার ক্ষেত্রেও নতুনভাবে ব্যয় করতে হবে ৩৫০ কোটি টাকা থেকে ৪শ’ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে ডলারের মূল্যবৃদ্ধিও কারণে বেড়েছে প্রকল্প ব্যয়। এ কারণে টানেলের মোট ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি।
নির্মাণাধীন টানেলটির দৈর্ঘ্য দিন দশমিক চার কিলোমিটার। টানেলটিতে থাকবে দুটি টিউব, যেগুলো দিয়ে চলাচল করবে যানবাহন। সেইসঙ্গে টানেলের দুই পাশে পাঁচ কিলোমিটারের বেশি সংযোগ সড়ক ও ৭২৭ মিটার দৈর্ঘ্যেও একটি ওভারব্রীজ ও নির্মাণ করা হচ্ছে। সংযোগ সড়কের কাজ ও অনেকটা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এদিকে, টানেলটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। একই প্রতিষ্ঠানকে টানেল রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়েরও দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
টানেল চালু হলে নিরবচ্ছিন্ন ও যুগোপযোগী সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং গভীর সমুদ্র বন্দরের নির্মাণকাজ ত্বরান্বিত করবে। কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে ব্যাপক শিল্পকারখানা গড়ে উঠার প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।
/এএস