শিক্ষা-সাহিত্য

প্রশ্ন ফাঁসসহ নানা বিতর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রতিষ্ঠানও

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ এক সময় সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংকগুলো নিজেদের নিয়োগ পরীক্ষা নিজেরাই নিতো। কিন্তু প্রশ্ন ফাঁসসহ নানা বিতর্কের কারণে প্রশ্নসহ পরীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রতিষ্ঠানে। এখন এসব প্রতিষ্ঠানও প্রশ্ন ফাঁসে বিতর্কের মধ্যে পড়ছে। ফলে কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া হলে ত্রুটিমুক্ত করা যাবে সেই পথের খোঁজ চলছে।

বাইরের যেসব প্রতিষ্ঠান এসব পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করে তার মধ্যে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম), বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ অন্যতম। সম্প্রতি কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কেও এই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্ব পেয়েছিল আহ্ছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এইউএসটি)। এই পরীক্ষায়ও প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বুয়েটের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান নিখিল রঞ্জন ধরের সম্পৃক্ততা পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতার এক জনের স্বীকারোক্তিতেও এসেছে এই অধ্যাপকের নাম।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত কাদের প্রশ্ন ছাপার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে সেটা ঠিকমতো দেখা। কারণ শুধু টেন্ডারে কেউ কম টাকা দিলেই তাকে কাজ দিতে হবে, এমনটি হওয়া উচিত নয়। তাদের সক্ষমতা আছে কী নেই সেটাও দেখা উচিত। আহ্ছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপাখানায় সিসি ক্যামেরাসহ ন্যূনতম নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেই। এত অরক্ষিত জায়গায় কীভাবে এত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ছাপা হলো সেই প্রশ্নের উত্তর এখনো মেলেনি। আর সেটারই সুযোগ নিয়েছে প্রশ্ন ফাঁসকারীরা। ফলে তাদের কীভাবে কাজ দেওয়া হলো সেটাই এখন আমাদের কাছে বিস্ময়!’

গোয়েন্দারা বলছেন, গত ছয় বছরে বুয়েটের ঐ শিক্ষকের অ্যাকাউন্টে ১০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এক জন শিক্ষকের অ্যাকাউন্টে এত টাকা কোথা থেকে এলো? সেই অর্থের সন্ধান করতে গিয়ে গোয়েন্দারা প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে এই শিক্ষকের সম্পৃক্ততা পেয়েছেন। ইতিমধ্যে বুয়েট কর্তৃপক্ষ তাকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে বুয়েট প্রশাসন। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে বিতর্কের মধ্যে পড়েছে বুয়েটও। অনেকেই বুয়েট শিক্ষকদের এখন আর আস্থায় নিতে পারছেন না।

যদিও অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধর তার বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। দায়িত্ব থেকেই তিনি প্রেসে গেছেন এবং কাজটি তদারকি করেছেন।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close