দেশজুড়ে
প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় পুলিশে নারীর সংখ্যা বাড়ছে: আইজিপি
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের উন্নয়নে নারীদের সমান অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নের আবশ্যকতা উপলব্ধি করেই ১৯৭৪ সালে পুলিশে প্রথম ১৪ নারী সদস্য নিয়োগের মাধ্যমে নবযাত্রার সূচনা করেছিলেন। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় ১৯৯৯ সাল হতে পর্যায়ক্রমে পুলিশে নারীর সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে মোট পুলিশ সদস্যের শতকরা ৮ দশমিক ১৯ ভাগ নারী।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে নারী পুলিশের বার্ষিক প্রশিক্ষণ সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
আইজিপি বলেন, আজ বাংলাদেশ পুলিশে ১৫ হাজার ৫৬১ জন নারী পুলিশ রয়েছেন। এটা শুধু সংখ্যা নয়। এটা জনবান্ধব পুলিশিং, সেবা ও আস্থার এক সম্মিলিত উচ্চারণ। মানবাধিকার সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যদের প্রতি অধিক জনপ্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে। নারী পুলিশের সাহসী ভূমিকা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রশংসিত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, কনস্টেবল থেকে সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নারী পর্যায়ের সব সদস্যদের ‘জেন্ডার রেসপন্সিভ পুলিশিং’ অনলাইন মডিউল কার্যকর হলে জেন্ডার বিষয়ে সচেতনতা আরও সুদৃঢ় হবে।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নিজ উদ্যোগে প্রথম মুন্সিগঞ্জে একজন নারী পুলিশ সুপারকে পদায়ন করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে রাঙামাটি, চাঁদপুর, নরসিংদী, ঝালকাঠি, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ জেলায় নারী পুলিশ সুপারকে পদায়ন করা হয়েছিল। বর্তমানে দুটি জেলায় (নড়াইল, গোপালগঞ্জ) নারী পুলিশ সুপার কর্মরত।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ডিআইজি (প্রটেকশন অ্যান্ড প্রটোকল) আমেনা বেগম প্রমুখ।
/এন এইচ