ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা থাকলেও এখন পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৩০ শতাংশ ধান সংগ্রহ হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ধান সংগ্রহে কিছুটা দেরি হচ্ছে।
রংপুরে প্রথমবারের মতো কৃষকের কাছ থেকে অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করছে খাদ্য বিভাগ। এতে, মধ্যসত্বভোগীদের দৌড়াত্ম্য কিছুটা কমলেও ভোগান্তি রয়েছে টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে।
গত বছর ২৬শে ডিসেম্বর থেকে দেশে প্রথমবারের মতো অ্যাপের মাধ্যমে আমন ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করে রংপুর খাদ্য বিভাগ। মূলত অনিয়ম এবং মধ্যসত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমাতেই পরীক্ষামূলকভাবে ১৬টি উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর নাম দেয়া হযেছে কৃষকের অ্যাপ।
শুরুর দিকে ধান সংগ্রহে প্রযুক্তির ব্যবহারে কৃষক কিছুটা শংকিত থাকলেও সুফল পাওয়ায় বেশ খুশি কৃষকেরা। তারা জানান, অ্যাপের মাধ্যমে ধান নেয়ায় মধ্যসত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমলেও ধান বিক্রির টাকা পেতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
এদিকে, ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা থাকলেও এখন পর্যন্ত ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। গুদাম কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণে ধান সংগ্রহে কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে বিড়ম্বনা নয়, প্রকৃত কৃষকের হাতে টাকা পৌঁছে দিতেই ব্যাংকের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করা হচ্ছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
চলতি মৌসুমে রংপুর সদর উপজেলায় কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে ২,৬৯৬ টন আমন ধান।
/এন এইচ