দেশজুড়ে
পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকা লুটের অভিযোগ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছালেক মিয়ার বিরুদ্ধে প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পৌরসভার একাধিক কাউন্সিলর বাদী হয়ে দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছে।
এসব অনিয়মের বিচারের দাবীতে ফুঁসে উঠছে এলাকার লোকজন। স্থবিরতা দেখা দিয়েছে পৌরসভার সেবা-কার্যক্রম।পৌরসভার নামে সরকারী রেলওয়ের জায়গা দখল করে দুই শতাধিক দোকান থেকে সেলামির নাম করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার পাশাপাশি এডিপিসহ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বলে অভিযোগ তুলেছে খোদ পৌরসভার ৭ জন কাউন্সিলর।
গত ৯ সেপ্টেম্বর এসব টাকা আত্মসাতের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছে। এ সব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফুঁসে উঠছে এলাকার লোকজন। পাশাপাশি পৌরসভার নাম দিয়ে রেলওয়ের সরকারী জায়গায় মার্কেট তৈরি করে কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের কোন ধরনের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করার কারণে বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ীরা।
তাদের দাবী প্রায় ২০০ দোকান ঘর থেকে কোটি টাকা মেয়র ছালেক মিয়া আত্মসাৎ করলেও তাদের কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। এর বিচার দাবী করেন ব্যবসায়ীরা। কাউন্সিলরা জানিয়েছেন তাদের বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন মেয়র ছালেক মিয়া। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাদের বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখানো হতো। তারা টাকা আত্মসাতের বিষয়ে তদন্ত করে মেয়রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানানপৌরসভার প্যানেল মেয়র জানিয়েছেন বিভিন্ন দপ্তরে থেকে ছালেক মিয়া দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করায় পৌরসভার কার্যক্রম স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
মেয়র ছালেক মিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছেন বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হবিগঞ্জ দুদকের সহকারী পরিচালক এরশাদ আলী। তবে তিনি ক্যামেরার সামনে কোনও কথা বলতে রাজি হননি। অপর দিকে সংবাদকর্মীরা পৌরসভার কার্যালয়ে গেলে মেয়র ছালেক মিয়া কৌশলে সটকে পড়ে। তবে মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন তিনি মিডিয়ার সাথে কোন ধরনের কথা বলতে চান না।
/আরএম