আশুলিয়াগার্মেন্টসশিল্প-বানিজ্যস্থানীয় সংবাদ
পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার টাকা করার দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক: পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি মাসে ২২ হাজার টাকা এবং এর ৭০ ভাগ মূল মজুরি হিসেবে দাবি করেছে বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন- বিজিএসএফ। এ ছাড়া পোশাক খাতের জন্য মজুরি বোর্ড পুনর্গঠনসহ ১০ দফা উত্থাপন করেছেন তারা।
রবিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে সাভারের আশুলিয়া শ্রীপুর এলাকায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে এ দাবি তোলা হয়।
পোশাক শ্রমিকদের সর্বমোট মজুরি ২২ হাজার টাকা, শ্রম আইন সংশোধন, মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস, প্রত্যেক কারখানায় শ্রমিক কলোনি নির্মাণ, প্রতি শিল্প এলাকায় ১০০ শয্যার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেন বিজিএসএফের কেন্দ্রীয় সভাপতি অরবিন্দু বেপারী বিন্দু।
অরবিন্দু বেপারী বিন্দু বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে মজুরি বোর্ড গঠন করে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে নতুন কাঠামোতে বেতন দিতে হবে। না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
তিনি বলেন, এশিয়ার এই অঞ্চলে বাংলাদেশের শ্রমিকরা সবচেয়ে কম বেতনে কাজ করেন, এটা লজ্জাজনক। মালিক পক্ষ অতিরিক্ত লাভ করে যাচ্ছে, একটা কারখানা থেকে লাভ করে একের পর এক কারখানা বানিয়ে যাচ্ছেন। তাদের তো অসুবিধা হচ্ছে না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে শ্রমিকের প্রকৃত আয় অনেক কমে গেছে। আগে এই টাকা দিয়ে যেভাবে জীবনযাপন করতেন, তা এখন করতে পারছেন না। শ্রমিকদের জীবনযাত্রার ব্যয়ভারকে লক্ষ্য করে, মুদ্রাস্ফীতিকে লক্ষ্য করে অতিদ্রুত শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সাইফুল হক আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আন্দোলন করলে নাকি আম-ছালা সবই যাবে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যের কথা। সরকার এবং মালিক এখন ভাই ভাই। শ্রমিকের দরকার ছিল শুধু ভোটের আগে। এখন শ্রমজীবী মানুষের ভোট দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নাই। তাই শ্রমিকদের কোনো দাবি তারা আমলে নেয় না। শ্রমিক গরিব থেকে আরো গরিব হয়েছে।
এ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য আনসার আলী দুলাল, বিজিএসএফের সাংগঠনিক সম্পাদক আলাল মোল্লা আওয়াল, শ্রমিক নেতা আলমগীর হোসেন প্রমুখ।