দেশজুড়ে
পোলাও খাইয়ে স্বামীকে অচেতন, পুরুষাঙ্গ কাটলেন স্ত্রী
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ নওগাঁর ধামইরহাটে স্বামীকে অচেতন করে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘটিয়েই আত্মগোপনে চলে গেছেন স্ত্রী। আহত স্বামীকে রক্তাক্ত অবস্থায় ধামইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আলমপুর ইউপির দেউলবাড়ী গ্রামে। আহত স্বামীর নাম হারুনুর রশিদ। অভিযুক্ত স্ত্রী হলেন ফরিদা বেগম। দেউলবাড়ী গ্রামের ইনসান আলীর ছেলে হারুনুর রশিদের স্ত্রী ফরিদা বেগম মোবাইল ফোনে অন্য পুরুষের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিষয়টি জানতে পেরে এ ব্যাপারে ফরিদাকে নিষেধ করেন হারুন।
তারপরও মোবাইলে পরপুরুষের সঙ্গে তার প্রেম চলতে থাকলে ফরিদার মোবাইল ফোন কেড়ে নেন হারুন। এ নিয়ে তাদের দাম্পত্য কলহ চরম আকার ধারন করে। এরই জেরে শনিবার রাতে ফরিদা কৌশলে হারুনকে একাধিকবার রাতের খাবার খেতে অনুরোধ করেন।একপর্যায়ে বাধ্য করে পোলাও খাইয়ে দেন। পোলাও খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হারুন কিছুটা অচেতন অনুভব করেন। এ সুযোগে ফরিদা হাসুয়া দিয়ে হারুনের পুরুষাঙ্গে কোপাতে থাকেন। প্রাণ বাঁচাতে হারুন দৌড়ে তার মায়ের ঘরে আশ্রয় নিলে ফরিদা পালিয়ে যান।
পরে রাতে হারুনকে ধামইরহাট হাসপাতালে নিয়ে আসলে আংশিক কেটে যাওয়া পুরুষাঙ্গে একাধিক সেলাই দেন চিকিৎসক। তাকে রামেক হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।এ ঘটনায় আহতের ভাই হাফেজ উদ্দিন বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় অভিযোগ করেছেন।তিনি বলেন, বর্তমানে আমার ভাই হারুন ধামইরহাট হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে।
ধামইরহাট থানার ওসি শামীম হাসান সরদার বলেন, স্বামী-স্ত্রীর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে ঘটা ওই অভিযোগ হাতে পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
/এন এইচ