জীবন-যাপনপ্রধান শিরোনাম

পেট্রোল পাম্পে ৪ উপায়ে প্রতারণার শিকার গ্রাহকরা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ সব ধরনের গাড়ি চালানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান জ্বালানি। তাই যেকোনো গাড়িতে জ্বালানি (ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন) রিফিল বা সংগ্রহ করতে ফিলিং স্টেশন বা জ্বালানি (পেট্রোল) পাম্পে যেতে হয়। পাম্প থেকে আপনার কষ্টার্জিত টাকায় কেনা জ্বালানি সঠিক পরিমাণে পাচ্ছেন তো? আপনার অজান্তেই ক্রয় করা জ্বালানি চার উপায়ে প্রতারণার মাধ্যমে চুরি করছে পাম্পের অসাধু ব্যবসায়ী বা কর্মচারীরা।

চলুন জেনে নেই চার উপায়ে কিভাবে আপনার কেনা জ্বালানি চুরি করা হচ্ছে-

১. ফুয়েল পাম্পের রিডিং মিটারের মাধ্যমে প্রতারণা

গাড়িসহ আপনি যখন জ্বালানি পাম্প থেকে জ্বালানি নিতে যান ঠিক তখনই একটি বিষয় লক্ষ্য রাখবেন। দেখবেন, এক জন আপনাকে তেল দেয়ার জন্য আসছে আর অন্য জন আপনার কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করতে আসছে। এ সুযোগ কাজে লাগেই প্রতারণার মাধ্যমে তেল চুরি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা।

আপনি যখন মিটার থেকে নজর সরিয়েছেন ঠিক তখন পাম্পের মিটার রিসেট না করেই পাম্পের কর্মচারী গাড়িতে জ্বালানি দেয়া শুরু করে। ফলে কারচুপির মাধ্যমে আপনার জ্বালানির কিছু পরিমাণ চুরি করা হয়।

এই প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। যখন জ্বালানি সংগ্রহ করতে পাম্পে যাবেন তখনই জ্বালানি পাম্পের রিডিং মিটারের দিকে লক্ষ্য রাখবেন। তেল দেয়ার আগে অবশ্যই মিটারটি রিসেট করে শূন্য করার বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।

এছাড়া অনেক সময় পাম্পে গিয়ে আপনি ৫০০ টাকার জ্বালানি চাইলেন। কিন্তু পাম্পের লোক আপনাকে ২০০ টাকার জ্বালানি দিয়ে থেমে গেল। সে ২০০ টাকা জ্বালানি দেয়ার পর থেকে আবার জ্বালানি দেয়া শুরু করে আপনাকে বাকি ৩০০ টাকার জ্বালানি দিলো। পুরো ৫০০ টাকার জ্বালানি দিয়েছে বলে আপনিও মনে করলেন। কিন্তু এটাও প্রতারণার একটা উপায়। আপনার সঙ্গে এমনটি ঘটলে পাম্পের কর্মচারীকে মিটার শূন্য করে আবারো বাকি জ্বালানি দেয়া শুরু করতে বলুন।

২. টিউনিংয়ের মাধ্যমে প্রতারণা

সাধারণত পাম্প থেকে ১০০, ২০০, ৫০০, ১০০০ টাকার বা ১ লিটার, ২ লিটার পরিমাণ জ্বালানি আমরা সংগ্রহ করি। এ সুযোগ কাজে লাগায় অসাধু ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। চাহিদা অনুযায়ী এই ডিজিটগুলো টিউনিং করে রাখে তারা। ফলে উল্লেখিত পরিমাণে তেল সংগ্রহ করলে আপনি প্রতারিত হবেন।

এই প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে সবসময় ৫০ বা ১০০ এর গুণিতক নয় এমন পরিমাণ তেল নিন। অর্থাৎ ১২৫ টাকার, ২৫৫ টাকার, ৩৩৫ টাকার এমন পরিমাণে তেল সংগ্রহ করুন। এছাড়া লিটার পরিমাণ তেল সংগ্রহের ক্ষেত্রে দশমিক যোগ করে নিন। অর্থাৎ টিউনিং করে রাখা হয়নি এমন পরিমাণ তেল নিন।

৩. বাটন অন অফ করে প্রতারণা

পাম্পের যে কর্মচারী আপনার গাড়িতে জ্বালানি দিচ্ছে তার হাতের দিকে নজর রাখুন। কর্মচারী যদি জ্বালানি দেয়ার সময় তার হাতে থাকা বাটনটি বারবার অন অফ করে তবে বুঝে নিন আপনি প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।

এ প্রতারণা রোধে কর্মচারীকে নতুন করে জ্বালানি দিতে বলুন। কারণ বারবার বাটন অফ অন করায় প্রাপ্য জ্বালানি আপনি পাচ্ছেন না। তাই জ্বালানি নেয়ার সময় পাম্পের কর্মচারী আপনাকে একবারে জ্বালানি দিচ্ছে কিনা তা অবশ্যই লক্ষ্য করবেন।

৪. ডিজিটাল চিপের মাধ্যমে চুরি

ডিজিটাল যুগে অনেক সময় পাম্পে ডিজিটাল চিপের মাধ্যমে চুরি হয়। রিমোট দ্বারা এ চিপটি নিয়ন্ত্রিত। পাম্পে থাকা এক জন লোক রিমোট দিয়ে চিপটি নিয়ন্ত্রণ করেন। কোনো পাম্প থেকে তেল নেয়ার পর যদি মনে হয় মিটারে ঘাপলা রয়েছে তাহলে এক লিটারের বোতল দিয়ে জ্বালানি মেপে নিন।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close