বিশ্বজুড়ে
পুলিশ দিয়ে ঘুম ভাঙাতে হলো সৌমেন বাবুর!
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: এক অদ্ভূত প্রগাঢ় ঘুমের সাক্ষী হলো সবাই। এক ব্যক্তিকে পুলিশ ডেকে ঘরের দরজা ভেঙে ঘুম ভাঙতে হয়েছে। শনিবার (২০ নভেম্বর) হুগলি জেলার চুঁচুড়ার বড়বাজার এলাকার এমন ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বড়বাজারের এক বিল্ডিংয়ে তিন তলার ফ্ল্যাটে সৌমেন নিয়োগী তার স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন। বিয়াল্লিশ বছর বয়সী সৌমেন রেলের শিয়ালদহ শাখায় কর্মরত। শুক্রবার সৌমেন বাবুর স্ত্রী বর্ধমানের বাবার বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছেন। শনিবার সকালে স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথাও হয়। তারপর বেলা বাড়লে বেশ কয়েকবার ফোন করে স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে আবাসিকের এক বাসিন্দা মনোজিৎ দত্তকে ফোন করে স্বামীকে ডেকে দিতে বলেন। মনোজিৎ বহু বার কলিং বেল বাজিয়ে ডাকাডাকি করে সাড়া শব্দ পাননি। আবাসনের অন্য বাসিন্দারা দরজায় ধাক্কা দিয়ে চিৎকার করে ডাকাডাকি করেও কোন সাড়া না পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন।
অন্যদিকে, শনিবার সকাল থেকে কেউই সৌমেনকে বাইরে বের হতে দেখেননি। প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক ধরে ডাকাডাকি, দরজা ধাক্কাধাক্কি চলে। শেষ পর্যন্ত মনোজিৎ দত্ত বিষয়টি সৌমেনবাবুর স্ত্রীকে জানান। তিনি শঙ্কিত হয়ে পড়েন।
প্রতিবেশীদের বলেন, যে কোনোভাবে দরজা ভেঙে ফেলতে বলেন। নিজে বাপের বাড়ি থেকে বিয়ের অনুষ্ঠান ফেলে রেখে চুঁচুড়ার উদ্দেশে রওনা দেন।
এরপর মনোজিৎ দত্তই চুঁচুড়া থানায় খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছানোর পর মিস্ত্রি ডেকে আনা হয়। হাতুড়ি, ছেনি দিয়ে মিস্ত্রিরা কোলাপসিবল গেটের তালা ভাঙেন। এরপর দরজা ভাঙা শুরু হয়। দরজা ভাঙার পর দেখা যায় গৃহকর্তা সৌমেন বাবু খালি গায়ে আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতে বেরিয়ে আসছেন। চোখের সামনে আবাসিকদের ভাঙা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাদের দিকে বিস্ময় নিয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকেন। ঘড়িতে তখন দুপুর আড়াইটা। হঠাৎ সম্বিত ফেরে সৌমেনবাবুর।