জীবন-যাপনপ্রধান শিরোনাম
পুরুষের কেন ফেসিয়াল করা উচিত?
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ বিউটি পার্লারের নাম শুনলেই সচরাচর আমাদের মাথায় আসে, সেখানে রূপচর্চার জন্য নারীরা যায়। একইভাবে স্পা এর কথা শুনলেও বেশিরভাগ মানুষের মাথায় আসে, সেগুলো তো নারীদের জন্য। ফেসওয়াশ শব্দের সঙ্গেও যেন নারী জড়িয়ে আছে। কোনো পুরুষও যে পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল করতে পারে, তা অনেকে ভাবতেই পারে না।
অথচ বিভিন্ন কারণে পুরুষদের মুখমণ্ডল খসখসে হয়ে যায়। তেল চিটচিটে ভাব কাটানোর জন্য অনেকেই বারবার মুখ ধুয়ে ফেলেন। বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনীও অনেকেই ব্যবহার করেন। কিন্তু দিনশেষে কাজের কাজ কিছুই হয় না। এক্ষেত্রে পার্লারে গেলে সেখানকার প্রশিক্ষিত ব্যক্তিরা আপনার ত্বকের ওই দশার কারণ চিহ্নিত করে করণীয় ঠিক করতে পারেন।
অনেক পুরুষই ভাবে, আমি তো ছেলে মানুষ, আমি কেন ফেসিয়াল করাবো; এটা তো মেয়েদের কাজ। কিন্তু ফেসিয়াল মানে তো, ত্বকের এক ধরনের চিকিৎসা; যা লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা করে থাকেন।
মূলত তারা ত্বক পরিষ্কার করে দেন, চামড়ার মরা আস্তরণ সরিয়ে দেন, ত্বকে প্রয়োজনে ম্যাসাজ করে দেন এবং সুন্দর করে সাজানোর কাজ করে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রণ যেন না হয়, কিংবা যাদের হয়েছে, তা যেন দ্রুত সেরে যায়, সেজন্য ফেসিয়াল করা হয়। তবে অজানা বা অদক্ষ কারো দ্বারা ফেসিয়াল করালে ক্ষতিও হতে পারে।
ফেসিয়াল করালে যে চার উপকার পাবে পুরুষরাঃ
১. ফেসিয়াল করলে ত্বক পরিষ্কার থাকে। ত্বকের আস্তরণ মসৃণ হয়ে যায়। ফলে ময়লা পড়লেও অল্পতেই তা উঠে যায়। যে কারণে ত্বকে এক ধরনের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
২. ফেসিয়াল করার ফলে কালো দাগ দূর হয়ে যায়। কারণ, ফেসিয়াল করার ফলে মরা চামড়াগুলো অপসারণ করা হয়ে থাকে।
৩. ফেসিয়াল করালে মরা চামড়াগুলো সম্পূর্ণভাবে অপসারণ করা যায়। যেটা বাড়িতে কোনোভাবেই করা সম্ভব হয় না। বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করে বিশেষজ্ঞরা সেটা অপসারণ করেন।
৪. ফেসিয়াল করার সময় বিশেষজ্ঞরা অনেক ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন। যেগুলো হয়তো আপনার বাড়িতে নেই। তাছাড়া তারা বিভিন্ন ধরনের এলইডি লাইট ব্যবহার করে, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি এবং আলট্রা সাউন্ডও ব্যবহার করে থাকেন। তাদের কাছ থেকে থ্যারাপিও নিতে পারবেন।
#এমএস