দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

পাপুলসহ-স্ত্রী-মেয়ে-শ্যালিকার ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলসহ চারজনের ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশে দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৯২টি তফসিলভুক্ত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত এই আদেশ দেন।

এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে পাপুলসহ চারজনের ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ ও স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন।

এর আগে, দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে গত ১১ নভেম্বর পাপুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম।

মামলার অভিযোগের তথ্যানুযায়ী, আসামিদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের আড়ালে জেসমিন প্রধানের পাঁচটি হিসাবের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত লন্ডারিং হয় ১৪৮ কোটি টাকা। অথচ মাত্র বয়স ২৩ বছর বয়সী জেসমিনের নিজের কোনো আয়ের উৎস নেই।

অন্যদিকে, এফডিআর হিসাবের ২ কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকার কোনো উৎস শ্যালিকা জেসমিন দাখিল করতে পারেননি। যে কারণে অবৈধ সম্পদের অভিযোগে কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল এবং তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

এদিকে, গত ২২ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার (অর্গানাইজ ক্রাইম) আলামিন বাদী হয়ে কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল, তার শ্যালিকা ও মেয়েসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অর্থপাচার আইনে মামলা করেন। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন-পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম, ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন, পাপুলের ব্যক্তিগত কর্মচারী মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান মনির, জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা, জেসমিন প্রধানের মালিকানাধীন কোম্পানি জেডাব্লিউ লীলাবালী ও কাজী বদরুল আলম লিটন। এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরো পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

মানব ও অর্থপাচারের অভিযোগে গত ৬ জুন কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তিনি এখন দেশটির কারাগারে বন্দি আছেন। কুয়েতের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে পাপুলের নামে জমা থাকা ১৩৮ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন।

তার বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগে বলা হয়, তিনি কুয়েতে মানবপাচার করে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। হুন্ডি ও ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ২০১৬ সালে বিদেশ থেকে ২৮০ কোটি টাকা দেশে এনেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close