প্রধান শিরোনামবিনোদন

পরীমনির এজাহার, সাভার মডেল থানায় মামলা হলো যে ধারায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: ধর্ষণচেষ্টা, হত্যাচেষ্টা ও হুমকির অভিযোগে সাভার মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। এর আগে সোমবার সকালে পরীমনির লিখিত অভিযোগপত্রটি ডিএমপির রূপনগর থানার এস আই ফারুক সাভার মডেল থানায় নিয়ে আসেন। পরে আজ সকাল ১১.৩০ মিনিটে মামলাটি রুজু করা হয়। মামলা নং-৩৮। মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের, ৯ (৪)খ/১০/৩০ ও পেনাল কোডের ৩২৩/৫১১/৫০৬ ( মারধর, জোর করে মদ খাওয়ানো ও হুমকি প্রদান) ধারা উল্লেখ করা হয়।

সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম আজ সোমবার বিকেলে গণমাধ্যমকে তা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলায় উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদ, অমিসহ ছয়জনকে (অজ্ঞাত ৪ জন) আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে পরীমণি উল্লেখ করেন, গত ৮ জুন (মঙ্গলবার) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার বনানীর বাসা থেকে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি (৩০), অমি (৪০) ও বনিসহ (২০) দুটি গাড়িযোগে তারা উত্তরার উদ্দেশে রওনা হই। পথে অমি বেড়িবাঁধস্থ ঢাকা বোট ক্লাবে তার দুই মিনিটের কাজ আছে বলে জানায়। অমির কথামতো সবাই রাত আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে গিয়ে গাড়ি দাঁড় করাই। কিন্তু বোট ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অমি কোন এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলে। তখন ঢাকা বোট ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেয়। পরে আমার ছোটবোন বনি প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে বোট ক্লাবে প্রবেশ করে ও বারের কাছের টয়লেট ব্যবহার করে। টয়লেট হতে বের হতেই এক নম্বর বিবাদী নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাদেরকে ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন এবং কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন। আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে অমিসহ এক নম্বর আসামি নাসির উদ্দিন মদ্যপানের জন্য জোর করেন। আমি মদ্যপান করতে না চাইলে এক নম্বর আসামি জোর করে আমার মুখে মদের বোতল প্রবেশ করিয়ে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। এতে আমার সামনের দাঁতে ও ঠোঁটে আঘাত পাই। এরপর নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে এবং আমাকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সে উত্তেজিত হয়ে টেবিলে থাকা গ্লাস ও মদের বোতল ভাঙচুর করে আমার গায়ে ছুঁড়ে মারে। তখন কস্টিউম ডিজাইনার জিমি নাসির মাহমুদকে বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করে জখম করে।

এজাহারে পরীমণি আরো উল্লেখ করেন, আমি প্রথমে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে ফোন দিতে গেলে আমার ফোনটি ফেলে দেওয়া হয়। এসময় দুই নম্বর আসামিসহ অজ্ঞাতনামা চারজন এক নম্বর আসামিকে ঘটনা ঘটাতে সহযোগিতা করে। আমি অজ্ঞাতনামা আসামিদের দেখলে শনাক্ত করতে পারবো। দুই নম্বর আসামি অমি পরিকল্পিতভাবে আমাকে বর্তমান বাসা থেকে ঢাকা বোট ক্লাবে নিয়ে যায়। সে অজ্ঞাতনামা চারজন আসামি ও নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে এবং জোরপূর্বক আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমি আমার সঙ্গীদের সহায়তায় ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পাই। রাত আনুমানিক ৩টার সময় আমি আমার গাড়িযোগে প্রায় অচেতন অবস্থায় অপর সঙ্গীদের সহায়তায় বাসায় ফিরে আসি।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close