দেশজুড়ে
পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় শাশুড়িকে হত্যা, পুত্রবধূসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ শাশুড়িকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে পুত্রবধূ শারমিন আক্তারসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের কেউ এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শাহেনূর এ রায় দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সব সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামিরা আদালতের কাছে দোষী প্রমাণিত হয়েছেন। তবে রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিল না।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হল- সদর উপজেলার কালিবৃত্তি গ্রামের মৃত তরিক উল্যার ছেলে মো. জামাল, মো. নাজিম ও আন্দারমানিক গ্রামের মো. হোসেনের ছেলে জসিম উদ্দিন।
আদালত সূত্র জানায়, মৃত জাকেরা বেগম সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মপুর গ্রামের প্রবাসী রুহুল আমিনের স্ত্রী। তার ছোট ছেলে আবুল বাশার ঢাকায় ইলেক্ট্রিকের কাজ করত। বাশারের অনুপস্থিতিতে সে (শারমিন) অপর আসামি জামালের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে, যা একপর্যায়ে দৈহিক সম্পর্কে গড়ায়। বিষয়টি জানতে পেরে পুত্রবধূকে এ সম্পর্ক থেকে বিরত থাকতে বলেন জাকেরা। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এর প্রেক্ষিতে শাশুড়িকে হত্যার পরিকল্পনা করে শারমিন।
পরিকল্পনা মতো ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই মধ্যরাতে বাসার কলাপসিবল গেট খুলে অপর আসামিদের নিজ কক্ষে নিয়ে যায় শারমিন। তাদের কথা শুনে ঘুম থেকে উঠে সেখানে গিয়ে আসামিদের দেখতে পান জাকেরা। এ সময় আসামিরা জাকেরাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরদিন নিহতের দেবর খোরশেদ আলম বাদী হয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত চারজনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। এপর ওইদিনই আসামি জসিম উদ্দিনকে নতুন তেওয়ারীগঞ্জ গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আসামিরা আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক।