দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু হাত দিয়ে খোলা হয়নি, ধারণা সিআইডির
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু হাত দিয়ে খোলা হয়নি বলে ধারণা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির। তাদের ধারণা নাট-বল্টু খোলার জন্য কোনো সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ জুন) রাজধানীর মালিবাগে অবস্থিত সিআইডির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ।
এর আগে গতকাল রোববার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট-বল্টু খুলে টিকটক বানানো তালহাকে রাজধানীর শান্তিনগর থেকে আটক করে সিআইডি।
রেজাউল মাসুদ বলেন, আমরা এ বিষয়ে সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে জেনেছি, এত বড় একটা স্থাপনার নাট-বল্টু হাত দিয়ে খোলা যাবে না। এটি একটি অন্তর্ঘাতমূলক কাজ। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত যুবক বায়েজিদ তালহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কেন তিনি পদ্মা সেতুর নাট খুললেন তা জানার চেষ্টা চলছে।
আটক তালহার রাজনৈতিক পরিচয়ের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে। কিন্তু আমরা তার অপরাধটাকেই আমলে নিচ্ছি।
সিআইডি জানায়, পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট-বল্টু খোলা ওই যুবকের নাম বায়েজিদ তালহা। তার বাড়ি পটুয়াখালীতে। তিনি রাজধানীতে একটি বেসরকারি চাকরি করেন।
কাইসার ৭১ (Kaisar71) নামক একটি টিকটক অ্যাকাউন্টের লোগো লাগানো সেতুর রেলিংয়ের নাট-বল্টু খোলার ৩৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবক পদ্মা সেতুর কংক্রিটের রেলিংয়ের ওপর দিয়ে লোহার রেলিংয়ের দুটি নাট খুলছেন। এই নাট দুটি দিয়ে লোহার রেলিংটি আটকানো রয়েছে কংক্রিটের রেলিংয়ের সঙ্গে। এরপর সেই যুবক নাট দুটি বাঁহাত দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে খুলে ডানহাতে নেন এবং আবার বাঁহাতের ওপর রাখেন।
নাট দুটি খুলে হাতের ওপর রেখে বলেন, ‘এই হলো আমাদের পদ্মা সেতু। আমাদের হাজার হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু।’ এ সময় পাশ থেকে আরেকজনকে বলতে শোনা যায়, ‘নাট খুলে ভাইরাল করে দিয়েন না।’
ভিডিওটি বায়েজিদের টিকটক অ্যাকউন্টে আপলোড করার পর ফেসবুকেও সেটি ভাইরাল হয়। তবে রোববার বিকেলে এই অ্যাকাউন্ট ‘প্রাইভেট’ করা অবস্থায় দেখা গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। ওই যুবকের এমন কাণ্ড দেখে অনেকেই তার শাস্তি দাবি করেছেন।
/এএস