শিল্প-বানিজ্য
পণ্যমূল্যে ভ্যাট এর বিরূপ প্রভাব, চাপে ক্রেতারা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের ফলে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য। মসলা জাতীয় পণ্য ছাড়াও দাম বেড়েছে ভোজ্যতেল এবং শিশু খাদ্যের।
কিন্তু কথা ছিল ভ্যাট আইন বাস্তবায়িত হলে বাড়ানো হবে না পণ্যমূল্য। ক্রেতারা বলছেন ভোগ্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির বিরূপ প্রভাব পড়েছে জীবনযাত্রায় ব্যয়ে। আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
স্বাভাবিক তুলনায় বেশ তেজী নিত্যপণ্যের বাজার। কয়েক মাস ধরেই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বেশ কয়েকটি পণ্য। জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আইন। আর তারপর থেকেই বাড়তির দিকে পণ্য মূল্য। বিশেষ করে ভোজ্যতেল, চিনি, এলাচ, গুঁড়ো দুধ সহ কয়েকটি পণ্যে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
আশুলিয়ার খুচরা মুদি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, পাম অয়েলের দাম লিটারপ্রতি ৫ টাকা বেড়েছে বাজেটের পরে। আর মসলাপাতির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা। এরমধ্যে এলাচের দামটা বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।
বাজার করতে আসা এক বেসরকারি চাকরিজীবী ক্রেতার সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, বাজার করতে আগে যে টাকা নিয়ে আসতাম সে টাকায় এখন অর্ধেক বাজারও হয়না। বেতন তো পাই আগের মতই।
নতুন বাজেটে মসলা আমদানিতেও ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। এতে বেড়েছে এলাচ, দারুচিনি, জিরা, জয়ফল সহ বিভিন্ন ধরনের মসলার দাম। বাজেট পাসের পর থেকে রাজধানীর বাজারে বেড়েছে গুঁড়োদুধের দামও। এক কেজির প্যাকেটের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ এবং ৫০০ গ্রাম এর প্যাকেটের দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা।
নিত্যপণ্যের ভ্যাট এর প্রভাব স্পষ্ট হওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে বাড়ছে অস্বস্তি। তাই নিত্যপণ্যে ভ্যাট সরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।