দেশজুড়ে
নৌকা প্রার্থীর হাতের কবজি কেটে দিল প্রতিপক্ষ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ধানীসাফা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন অর রশিদ তালুকদারের এক কর্মীকে কুপিয়ে ও হাতের কবজি কেটে জখম করছে প্রতিপক্ষরা।
বিপ্লব নামের ওই কর্মীকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে মঠবাড়িয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বিপ্লবের শরীরে একাধিক কোপের চিহ্ন রয়েছে। তার গালে, মাথার পেছনে বড় কোপ রয়েছে। তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল পাঠানো হয়েছে।
বিপ্লবের পরিবার জানায়, বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ফুলঝুড়ি পাতাকাটা এলাকায় নৌকা মার্কার প্রচারণায় নামে কর্মী সমর্থকরা। এ সময় প্রতিপক্ষের বিদ্রোহী চশমা মার্কার প্রার্থী রফিকের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। বিপ্লব বেপারীকে কোপ দিয়ে হাতের কবজি কেটে দেয় চশমার সমর্থকরা।
বিপ্লব হাসপাতালে পুলিশকে জানান, সোহেল তাকে হাত ধরে অন্ধকারে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় পেছন থেকে প্রথম কোপ দেয় ফরিদ। পরে তার মৃত্যু হয়েছে বুঝে সবাই ওখান থেকে সরে পড়ে।
বিপ্লবের আপন বড় ভাই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা জানান, উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান ও তার ভাই বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের ইন্ধনেই এ হামলা হয়েছে। যেদিন মঠবাড়িয়ার রাজনীতিতে আশরাফের আবির্ভাব হয়েছে, সেদিন থেকেই এই জনপদ অশান্ত হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, গত উপজেলা নির্বাচনে তার ভাই রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ নৌকার বিপক্ষে বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করেছেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অমান্য করে আশরাফ বিদ্রোহী করে আপেল মার্কা নিয়ে সংসদ নির্বাচন করেন। ৫ম ধাপের এ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও যেখানে তার প্রার্থী নমিনেশন পায়নি সেখানে বিদ্রোহী প্রার্থী দিয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম বাদল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।