প্রধান শিরোনামবিনোদন
নিজের প্রেমের বিষয়ে যা বললেন জয়া
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ দুই বাংলার চলচ্চিত্রে নিয়মিত দাপটের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন জয়া আহসান। এই অভিনেত্রীর ব্যক্তিজীবন নিয়েও বেশ আলোচনা হয়। সেটা বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় প্রেম বিষয়ক। নানা সময় গুঞ্জন ভেসে আসে বিভিন্ন পরিচালকদের সঙ্গে প্রেম করছেন জয়া। কলকাতার অরিন্দম শীল, সৃজিত মুখার্জি থেকে শুরু করে দুই বাংলার অনেক পরিচালকের সঙ্গেই তার নাম জড়িয়েছে। তার প্রেমিকের তালিকায় এসেছে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীদেরও নাম।
বিষয়টি নিয়ে এতোদিন চুপ ছিলেন জয়া। এসব গুঞ্জন নিয়ে তার খুব একটা মাথাব্যথা নেই। এবার সহকর্মী আরেক অভিনেত্রী অপি করিমের প্রশ্নের জবাবে নিজের প্রেমজীবন সম্পর্কে জানালেন সব কথা। একটি টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘অপি’স গ্লোয়িং চেয়ার’। এটি উপস্থাপনা করেন অপি করিম। সেখানে সম্প্রতি অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন জয়া।
আলাপের এক পর্যায়ে অপি তাকে প্রশ্ন করেন, যখন যে পরিচালকের সঙ্গে আপনি কাজ তার সঙ্গে আপনাকে জড়িয়ে অনেক কথা শোনা যায়। এমনভাবে শোনা যায় যে বিশ্বাস করতে বাধ্য হতে হয়। এটা কেন? সাধারণত কোনো অভিনেত্রীর প্রেমের গুঞ্জন ছড়ায় কোনো একজন অভিনেতা বা পরিচালকের সঙ্গে অনেক বেশি কাজ করতে থাকলে। কিন্তু আপনাকে নিয়ে একাধিক পরিচালকের সঙ্গে গুঞ্জন আসে। খুব মুখরোচক গল্প হয়। সেগুলো কেন?
জবাবে জয়া বলেন, আমিও বাধ্য হচ্ছিলাম কিছুদিন আগে যখন একজন রাজনীতিবিদকে জড়িয়ে আমার প্রেমের গুঞ্জন ছড়ালো। অবাক হয়ে যাই এইসব মুখরোচক গল্পগুলো কীভাবে তৈরি হয় এবং কীভাবে ছড়ায়। আমি যখন ওই ভদ্রলোকের সঙ্গে আমার প্রেমের খবরটি শুনলাম নিজের মনেই হাসলাম। ওই ভদ্রলোকের নামও আমি ভালো করে শুনিনি। বুঝলাম যে এটা হয়তো একটা প্যাকেজ। খ্যাতি আসলে বিড়ম্বনা আসবে।
তিনি আরো বলেন, পরিচালকদের নিয়ে যে গুঞ্জন ছড়ায় সেটা আসলে আমি কিছু বলতে পারবো না। পরিচালকরাই ভালো বলতে পারবেন। এখন কেউ যদি আমার কাজের প্রেমে পড়ে সেটা ঠিক আছে। পেশাদারিত্ব এটা। কিন্তু কেউ যদি আমার প্রেমে পড়ে বা মানুষটার প্রেমে পড়ে সেটাতে আমার কোনো হাত নেই।
এদিকে জয়া আহসানের পাঁচটি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন। এর মধ্যে তিনটি কলকাতার, দুটি বাংলাদেশের। ছবিগুলো হচ্ছে কৌশিক গাঙ্গুলীর ‘অর্ধাঙ্গিনী’, সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়ের ‘ঝরা পালক’, সৌকর্য্য ঘোষালের ‘ভূতপরী’, নূরুল আলম আতিক পরিচালিত ‘পেয়ারার সুবাস’ ও মাহমুদ দিদার পরিচালিত ‘বিউটি সার্কাস’। করোনাভাইরাসের কারণে ছবিগুলো মুক্তি পাচ্ছে না।
/এন এইচ