দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

নিকলী হাওরে অদম্য যুবকের গল্প

 নিজস্ব  প্রতিবেদক: মোঃ টিটু। কিশোরগঞ্জের নিকলী সদর থানার নাগারসিহাটি গ্রামের যুবক। ছোটবেলা থেকেই নিজেদের হাঁসের খামারে বাবাকে সাহায্য করতেন। শিখেছেন কিভাবে হাঁস পালনে লাভবান হওয়া যায়। মাত্র ১০০ টি হাঁস নিয়ে শুরু করলেও এখন তার রয়েছে ৩ হাজার হাঁস। আজ টিটু সফল খামারী। তবে শুধু টিটু নয় হাঁসের খামার করে স্থানীয় অনেক চাষী ও বেকার যুবকেরা তাদের ভাগ্য উন্নয়ন করছেন।

হাওড় এলাকা হিসেবে জনপ্রিয় কিশোরগঞ্জের নিকলি উপজেলা। এখানকার বেশির ভাগ মানুষ কৃষি নির্ভর জীবন যাপন করে। এখন চাষাবাদের পাশাপাশি অনেকেই হাঁস পালন করছে। গড়ে তুলছেন হাঁসের খামার । হাঁস পালনের হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন নিকলী হাওয়ের খামারিরা।

নিজের খামারে কাজে ব্যস্ত টিটু।

টিটু জানান, ছোট বেলাই বাবাকে দেখা শেখা। খামারে একদিনের হাসের বাচ্ছা কিনে আনা হয়। পরে সেগুলো লালন পালন করে বড় করে তোলা হয়।  যা আয় হয়, মোটামুটি ভাবে সংসার ভালোই চলে।

এ গ্রামে শতাধিক হাঁসের খামার রয়েছে। হাওড়ে অনেক আগে থেকে হাঁস পালন করা হলেও এখন বাণিজ্যিকভাবে হাঁস পালন করে আসছে স্থানীয় চাষীরা। পিছিয়ে নেই নারীরাও।

ধান, গম এবং শামুক সংগ্রহ করে হাঁসের খাবারের ব্যবস্থা করে খামারীরা। এখানে প্রাকৃতিকভাবে খাবার পাওয়া যায় বলে এই অঞ্চল হাঁস পালনের জন্য একটি উপযোগী জায়গা। হাঁস পালনে সম্ভাবনা থাকলেও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় খামারীদের।

খামারিদের অভিযোগ, হাঁসের কোনো রোগ দেখা দিলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা বা পরামর্শ পাওয়া যায় না। সরাকারীভাবে হাঁসের ভ্যাকসিন সুলভ মূল্যে পাওয়ার কথা থাকলেও খামারিদের বাজার থেকে চড়া দামে ভ্যাকসিন কিনতে হয় । এসব সমস্যার ফলে অনেক সময় খামারে হাঁসের মড়ক দেখা দিলে অসহায় হয়ে পড়ে খামারিরা। অনেক রোগে হাঁস মারা যায়। এতে বেশ ক।ষতির সম্মুখীন হতে হয়। সরকার যেন এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেন বলেও অনুরোধ জানায়।

এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকার্তা ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, জেলার প্রাণি সম্পদ দপ্তর জনবলের কিছুটা সংকট রয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন অচিরেই এসব সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close