দেশজুড়ে
না জানিয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহনে মনঃক্ষুন্ন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ দলীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কিছুই জানানো হচ্ছে না দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের। বগুড়ার উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ, সংসদে যোগদানসহ সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠ নেতাদের মতামত নেওয়া হয়নি। কোন প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, সেটাও তারা জানেন না। এ নিয়ে তারা মনঃক্ষুন্ন মনোভাব প্রকাশ করছেন। দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত আসায় তারা সিদ্ধান্তগুলো চুপচাপ মেনে নিলেও গোপনে দলের কার্যক্রম থেকে নিজেদের গুটিয়েও নিচ্ছেন অনেকেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, শপথ, সংসদে যোগদান ও বগুড়ার আসনে আবার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত দলের নেতা-কর্মীদের বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলেছে। এসব সিদ্ধান্ত কোন পর্যায় থেকে, কোন প্রক্রিয়ায় হচ্ছে; তা নিয়ে দলের ভেতরে প্রশ্ন আছে। এতে দলীয় প্রধান কারাবন্দী খালেদা জিয়ার কতোটা সায় আছে, তা নিয়েও নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংশয়–সন্দেহ তৈরি হয়েছে। সর্বশেষ বগুড়া-৬ আসনের নির্বাচনে দলের মনোনয়ন ফরমে খালেদা জিয়া সই না করায় বিষয়টি আবার সামনে এসেছে। এই অবস্থায় জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনেকে খটকায় পড়েছেন, আদতে দলীয় সাংসদদের শপথ নেওয়ার বিষয়ে খালেদা জিয়ার মত ছিলো কি না, এবং বগুড়ার নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে কোনো বার্তা তিনি দিয়েছেন কি না।
নেতারা বলছেন, বিষয়গুলো নিয়ে একধরণের লুকোচুরি দৃশ্যমান ছিলো। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন সিদ্ধান্ত জ্যেষ্ঠ নেতাদের কাছ থেকে লুকিয়ে বিএনপিকে কোন উচ্চতায় নিতে চাচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।
এদিকে বিভ্রান্তি আরও বেড়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্যে, গত শুক্রবার (২৪ মে) সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির সঙ্গে বিএনপির সংসদে যোগদানের কোনো সম্পর্ক নেই।
এদিকে সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগুলোর পক্ষে যুক্তি হিসেবে কোনো কোনো কেন্দ্রীয় নেতা বলছেন, তাদের কাছে তথ্য ছিলো, মহাসচিব ছাড়া বাকি পাঁচ সাংসদ দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে হলেও শপথ নিতেন। তাদের বহিষ্কার করলে তখন ওই সাংসদরাসহ আরও কিছু ব্যক্তিকে দিয়ে ‘আসল বিএনপি’ নামে দল গঠন করা হতো। তারা বগুড়ার নির্বাচনেও কাউকে মনোনয়ন দিতেন। এসব বিবেচনায় নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব অবস্থান বদলান।