স্বাস্থ্য
নারী হতে ভারতের হাসপাতালে বাংলাদেশি যুবক!
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: ভারতের গুজরাটের ভডোদারার একটি হাসপাতালে লিঙ্গ রূপান্তরের জন্যে বাংলাদেশি এক যুবকের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এই প্রথম কোনো বিদেশির লিঙ্গ রূপান্তরে অস্ত্রোপচার করে ভডোদারার চিকিৎসা ক্ষেত্রে এটি তৈরি করেছে নতুন রেকর্ড। উপরন্তু চিকিৎসকরা এর আগে কোনো রোগীর স্তনের জন্য ফ্যাট গ্রাফটিংয়ের কাজ করেনি। এটাও একটা নতুন রেকর্ড। এর আগে তারা ১০ থেকে ১২ জন ভারতীয়কে নারীতে রূপান্তরে অস্ত্রোপচার করে।
সেক্স রিঅ্যাসাইমেন্ট সার্জারির (এসআরএস) ক্ষেত্রে ভডোদারা একটি নতুন অধ্যায় খুলেছে।
২৬ বছর বয়সী বাংলাদেশি যুবক পেশায় বাবুর্চি। গুজরাটে যাওয়ার পূর্বে ডাক্তারদের বিষয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারেন। এবং অনলাইনে যোগাযোগ করেই শহরভিত্তিক হাসপাতালটি তিনি বেছে নেন।
ওই যুবকের ভাই ইকবাল বলেন, আমরা প্রথমে বাংলাদেশি ডাক্তারদের পরামর্শ নিয়েছি কিন্তু তারা বলেছেন তারা এসআরএস সুবিধা দিতে সক্ষম নন। তারা আমাদের পরামর্শ দেয় যে, এই ধরনের অস্ত্রোপচার ভারতে সঠিকভাবে সম্পন্ন করা হয়।
ইকবালের মতে, তাদের স্যালুন ব্যবসায় রয়েছে। কিন্তু তার ভাই পুরুষ হিসাবে অস্বস্তিকর অবস্থায় ছিল এবং প্রায়ই লিঙ্গ পরিবর্তনের বিষয়ে ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন।
প্রস্রাব বিশেষজ্ঞ ও অ্যান্ড্রোলজিস্ট সঞ্জীব শাহ বলেন, আমরা এর আগে ১০ থেকে ১২টি সফল অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন করেছি, তবে বিদেশ থেকে রোগীর সার্জারি পরিচালনার জন্য এটিই প্রথম।
এই অপারেশনের টিমে অন্যদের মধ্যে ছিলেন প্লাস্টিক সার্জন ডা. উমেশ শাহ, ফিজিয়াট্রিস্ট ড. গৌতম আমিন এবং মেডিকো-লিগ্যাল বিশেষজ্ঞ ডা. বিজয় শাহ।
প্লাস্টিক সার্জন বলেন, আমরা এর আগে সিলিকন স্তন ইমপ্লান্ট করেছি। কিন্তু এই ক্ষেত্রে আমরা বিকল্প বেছে নিলাম। যা আমরা আগে করিনি। আমরা দেখলাম রোগী মোটা। তার শরীরে বেশ চর্বি আছে। তাই আমরা স্তন তৈরিতে ফ্যাট গ্রাফটিং বেছে নিয়েছি, যা একটি নতুন স্তন পুনর্গঠন কৌশল হিসাবে প্রথম পরীক্ষা।
সঞ্জীব শাহ বলেন বলেন, রোগী যখন ফ্যাট গ্রাফটিং অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেছে। অণ্ডকোষ অপসারণ করেছে। এখন আমরা তার হরমোন থেরাপির দিকে যাব। এরপর তার জরায়ু পুনর্গঠনের (ভেজাইনাল রিকন্সট্রাকশন) দিকে যাব।
ফিজিয়াট্রিস্ট ড. গৌতম আমিন বলেন, এসআরএস বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে, আমাদের জানা উচিত যে, রোগী লিঙ্গভীতি রোগে আক্রান্ত কিনা, কোনো ব্যক্তি তার জন্মগত যৌনতা এবং লিঙ্গের কারণে নিজেদের দুর্দশাগ্রস্ত ভাবে কিনা। এই অস্ত্রোপচার অপরিবর্তনীয় এবং তাদের জন্য মনস্তাত্ত্বিক কাউন্সিলিং আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। (সূত্র: দেশবিদেশে.কম)