দেশজুড়ে
নারীর দেহ তল্লাশিতে পুরুষ পুলিশকে বাধা দেয়ায় শিক্ষককে গ্রেফতার

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ নাটোরের নলডাঙ্গায় এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের সময় পুলিশকে বাধা দেয়ার অভিযোগে স্কুলশিক্ষক দুলালুর রহমান দুলালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, গ্রেফতার ব্যক্তির স্ত্রীর দেহ তল্লাশিকালে ওই স্কুলশিক্ষক মহিলা পুলিশ দিয়ে দেহ তল্লাশির জন্য বলেন। এ নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে পুলিশ ওই স্কুলশিক্ষককে টেনেহিঁচড়ে থানায় নিয়ে যায় এবং পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে মামলা করে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নলডাঙ্গার মাছবাজারে মিলন নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের সময় বাধা দিলে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। সেই সঙ্গে গাঙ্গলপাড়া গ্রামের আমানুর রহমানের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী মিলনকেও (২৫) গ্রেফতার করে পুলিশ।
দুলালুর রহমান দুলাল মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং নলডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক।
নলডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম পিয়াস জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার নলডাঙ্গা মাছবাজারে গাঙ্গলপাড়া গ্রামের আমানুর রহমানের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী মিলন (২৫) ও তার স্ত্রী বাজারে যাচ্ছিল।
তখন নলডাঙ্গা থানার দুই পুলিশ তাদের কাছে মাদক আছে সন্দেহে মাদক ব্যবসায়ীসহ তার স্ত্রীর দেহ তল্লাশি করে। এ দৃশ্য দেখে শিক্ষক দুলালুর রহমান দুলাল নারী পুলিশ দিয়ে মিলনের স্ত্রীর দেহ তল্লাশির অনুরোধ করেন। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে মাদক ব্যবসায়ী মিলন ও শিক্ষক দুলালকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পিয়াস অভিযোগ করে বলেন, একজন স্কুল শিক্ষককে টেনেহিঁচড়ে থানায় নিয়ে নির্যাতন মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি অবিলম্বে শিক্ষক দুলালুর রহমান দুলালের মুক্তি দাবি করেন।
নাটোরের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার আকরামুল ইসলাম এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মিলনের স্ত্রীর দেহ তল্লাশি করা হয়নি। তিনি নিজেই ব্যাগ খুলে পুলিশকে দেখিয়েছেন। কিন্তু মিলন নামের ওই মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের সময় শিক্ষক দুলালুর রহমান দুলাল বাধা দেন। এ অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে। তবে মাদক ব্যবসায়ী মিলন ও তার স্ত্রীর কাছে থেকে কিছু পাওয়া যায়নি। মিলন মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং সে মদ্যপ অবস্থায় ছিল।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। অপরদিকে মিলনকে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।