দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

নারীর অর্থনৈতিক মুক্তিটাই সব থেকে বড়: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি মেয়ে যদি নিজে আয় করে, দশটি টাকাও যদি সে আয় করে সংসারে ফেরে তবে সেই সংসারে তার একটা অবস্থান থাকে, মতামত থাকে। অর্থাৎ নারীর অর্থনৈতিক সক্ষমতা সৃষ্টি করতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলতেন ‘মেয়েদের অর্থনৈতিক মুক্তিটাই সব থেকে বড়’। সে লক্ষ্যেই কাজ করছে বর্তমান সরকার।

শুক্রবার (৮ই মার্চ) সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার ডাকে এ দেশের মানুষ অস্ত্র কাঁধে নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করেছে। পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী এ দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকিস্তানের শাসকরা আল বদর বাহিনী, রাজাকার বাহিনী গড়ে তোলে। আমাদের কিছু দেশীয় দালাল, তারা নারীদের ধরে নিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্পে দিয়ে দিত। দিনের পর দিন তাদের ওপর পাশবিক অত্যাচার চলতো। তাদের ওপর অকথ্য নির্যাতন হয়। সে নির্যাতিত মা-বোনদের আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্যাতিত নারীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ তিনি।

তিনি বলেন, জাতির পিতা নারীদের প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক ঘোষণা করেছিলেন। যার প্রেক্ষিতে নারীরা আজ উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে সব যায়গায় নারীরা দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা আমাদের একটা সংবিধান দিয়েছেন, সেই সংবিধানে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছেন। নারীদের চাকরি ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কোটা নির্দিষ্ট করেছেন, চাকরির ক্ষেত্রে যাতে নারীরা সমান সুযোগ পেতে পারে। সংসদের সংক্ষরিত নারী আসন দিয়েছিলেন যাতে করে নারী নেতৃত্ব গড়ে উঠতে পারে।

এর আগে সকাল ১০টায় উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য পাঁচ বিশিষ্ট নারীকে জয়িতা সম্মাননা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সম্মাননা পাওয়া পাঁচ জয়িতা হলেন- ময়মনসিংহের আনার কলি, রাজশাহীর কল্যাণী মিনজি, সিলেটের চা শ্রমিক কমলী রবিদাশ, বরগুনার জাহানারা বেগম ও খুলনার পাখি দত্ত হিজড়া।

এ সময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।

/এএস

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close