দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জে পরকীয়ার জেরে স্ত্রী-সন্তান মিলে সৌদিপ্রবাসীকে হত্যা
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পরকীয়া প্রেমের জের ধরে স্ত্রী ও দুই সন্তান মিলে জামাল নামে এক সৌদি প্রবাসী ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৬ আগস্ট) সকালে তার বাড়ির বাথরুম থেকে জামালের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়না তদন্তের জন্য প্রবাসীর মরদেহ সদরের ১শ’ শয্যা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার দাপাইদ্রাকপুর এলাকার রেইনবো মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত জামাল ওই এলাকার মৃত মো. আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত সৌদি আরবে প্রবাসে থাকা জামাল দেড় বছর আগে দেশে ফিরে আসেন। তবে আর সৌদি আরবে ফিরে যাননি। মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে তার নিজ বাড়ির বাথরুম থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। এ সময় তার পরিবার তাকে হাসপাতালে না নিয়ে মরদেহ দাফনের পরিকল্পনা করে। সকালে গোপনে দাফনের চেষ্টা করা হলে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী, কন্যা ও ছেলেকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- নিহত জামালের স্ত্রী শারমীন আক্তার (৪০), মেয়ে সামিয়া আক্তার (২০) ও ছেলে ডালিম (১৭)।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম সফিকুল ইসলাম বলেন, নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে জামালকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। গোপনে মরদেহ দাফনের চেষ্টার কারণে এই সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী, কন্যা ও ছেলেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার মো: জায়েদুল আলম সময় নিউজকে বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ, সংগৃহীত আলামত ও বিভিন্ন বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে জামাল অন্য কোন নারীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেই আক্রোশে তার স্ত্রী ও দুই ছেলে মেয়ে মিলে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির স্ত্রী ও দুই সন্তানকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আমরা খতিয়ে দেখছি।
/এন এইচ