শিল্প-বানিজ্য
নাটোর বিসিকে গ্যাস সংযোগ না থাকায় বন্ধ হচ্ছে কারখানা
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: ৩৫ বছরেও নাটোর বিসিকে গ্যাস সংযোগ পৌঁছায়নি। উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেন না শিল্পমালিকরা। এতে চলতি বছরেই ৪টি বড় কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও চলছে ধুঁকে ধুঁকে। মন্ত্রণালয়ে বিসিক কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন বারবার আবেদন করেও গ্যাস সরবরাহের কোনো নিশ্চয়তা পায়নি।
চারপাশের জেলায় গ্যাস সরবরাহ করা হলেও নাটোরের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য গ্যাস সরবরাহ করা হয়নি। সিলিন্ডার গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহার করে উৎপাদন করায় বিভিন্ন পণ্যের প্রতি কেজিতে উৎপাদন খরচ ৫-১০ টাকা বেশি হচ্ছে। এতে নাটোর বিসিকের ১০৪টি প্লটের শিল্পমালিকদের উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় তারা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেন না।
ফলস্বরূপ চলতি বছরেই ৪টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। লোকসান কমাতে বাকি কারখানাগুলোতে কমিয়ে দেয়া হয়েছে উৎপাদন। নাটোর বিসিকে দ্রুত গ্যাস সরবরাহ না করলে পুঁজি হারানোর আশঙ্কা করছেন শিল্পমালিকরা।
এ বিষয়ে একজন কারখানা মালিক বলেন, ‘আমাদের কারখানা কার্যক্রম পরিচালনা করতে বেশি খরচ হয়ে যাচ্ছে। এসব খরচের কারণে আমাদের কারখানা এখন বন্ধ হয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। তাই সরকার যেন আমাদের নাটোর জেলায় বিসিক শিল্পনগরী এবং অন্যান্য যে শিল্পকারখানা রয়েছে, সেগুলোর জন্য গ্যাসের ব্যবস্থা করে দেয়।’
এদিকে খোদ নাটোরের বিসিক সহকারী উপব্যবস্থাপক দিলরুবা দিপ্তি গ্যাস সরবরাহ না থাকার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে গ্যাস সরবরাহ দরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিসিক শিল্পনগরীতে যেহেতু গ্যাসের সরবরাহ নেই, সে কারণে পার্শ্ববর্তী জেলা বগুড়া, রাজশাহী ও পাবনার সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছেন না।’
নাটোর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানিয়েছেন, নাটোর জেলায় গ্যাস সরবরাহে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি এর আগেও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। আমরা আবারও সব জনপ্রতিনিধিকে নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।’
উল্লেখ্য, নাটোর শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে বাগাতিপাড়া উপজেলার হিজলি এলাকায় গ্যাস সরবরাহের জন্য পয়েন্ট স্থাপন করা হলেও অজ্ঞাত কারণে গ্যাস সরবরাহ করা হয়নি।
/এএস