বিশ্বজুড়ে
নাটক বাদ দিয়ে উঠে দাড়ান- হুইলচেয়ারে বসা নারীকে নিরাপত্তাকর্মী
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের অধিকার নিয়ে কাজ করেন ভিরালি মোদী নামে ২৮ বছর বয়সী এক ভারতীয় নারী। যিনি নিজেও ২০০৬ সালে মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়ে চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়েছেন। এরপর থেকেই তার চলাফেরার সঙ্গী হুইলচেয়ার।
তবে এই অধিকারকর্মীকেই দিল্লি এয়ারপোর্টে চেকিংয়ের জন্য হুইলচেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াতে বলেছেন সেন্টাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) এক নারী সদস্য। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভিরালি মোদী। অভিযোগ করেছেন সিআইএসএফ প্রধানের কাছেও।
এক টুইটার বার্তায় দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা ওই নারী বলেন, দিল্লি থেকে মুম্বাই যাওয়ার পথে দিল্লি এয়ারপোর্টে আমার সঙ্গে এক বাজে ঘটনা ঘটে। শারিরীক অক্ষমতার কারণেই আমি সবসময় আমার সঙ্গে হুইলচেয়ার রাখি। তো প্লেনে ওঠার আগেই আমি হুইলচেয়ার চেকিংয়ের জন্য পাঠাই। এরপর আমাকে নির্দিষ্ট চেকিংয়ের স্থানে নিয়ে যেতে সহায়তার জন্য এক কুলিকে সঙ্গে নেই।
‘‘এরপরই আমার সঙ্গে ওই বাজে ঘটনাটি ঘটে। এয়ারপোর্টে চেকিংয়ে দায়িত্বরত সিআইএসএফ’র এক নারী সদস্য চেকিংয়ের জন্য আমাকে হুইলচেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াতে বলে। ‘দীর্ঘ ১৩ বছর যাবৎ আমি হুইলচেয়ারে চলাফেরা করি’ বহুবার তাকে এই কথা জানালেও তিনি বলেন, আমি নাকি অভিনয় করছি। তিনি আমার চেকিংয়ের কাজ করতে পারবেন না।’’
এরপর তিনি চলে গেলে সিআইএসএফ’র অন্য আরেক নারী কর্মী এসে আমার চেকিংয়ের কাজ করেন বলে জানান ভিরালি।
নিজের সঙ্গে এমন অনমানবিক ঘটনার পর চুপ থাকেননি এই অধিকারকর্মী। এ নিয়ে তিনি অভিযোগ করেন দিল্লি সিআইএসএফ’র প্রধানের কাছে।
সর্বশেষ ভিরালির করা অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যাপারটি নিয়ে সিআইএসএফ প্রধান দুঃখ প্রকাশ করেছেন উল্লেখ করে ভিরালি বলেন, আমার করা অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি ফোন করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে দিল্লিতে গেলে তার সঙ্গে দেখা করার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন।
ভিরালি মোদী পেশায় মডেল, মোটিভেশনাল স্পীকার, প্রতিবন্ধী মানবাধিকার কর্মী।
/আরএম