শিল্প-বানিজ্যশেয়ার বাজার
নবায়ন ফি না দেয়ায় ১,১৪,০০০ বিও অ্যাকাউন্ট বাতিল
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ নির্ধারিত সময়ে নবায়ন ফি না দেয়ায় শেয়ারবাজারে গত এক মাসে এক লাখ ১৪ হাজার বেনিফিশিয়ারি ওনার (বিও) অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এই তালিকায় বিভিন্ন কোম্পানির ৪৪টি এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের (এনআরবি) ৯ হাজার ৫২৫ অ্যাকাউন্ট রয়েছে। লেট ফি দিয়েও এসব অ্যাকাউন্ট আর চালু করা যাবে না। বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের পাঠানো তালিকার ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয় ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে শেয়ার সংরক্ষণকারী কোম্পানি সিডিবিএল (সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড)। নবায়নের শেষ সময় ছিল ৩০ জুন।
তবে ব্রোকারেজ হাউসগুলো জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে নিষ্ক্রিয় বিও অ্যাকাউন্ট বন্ধের তালিকা পাঠানো শুরু করে। আর সর্বশেষ হিসাবে দেশের শেয়ারবাজারে মোট বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখ ২১ হাজার। সিডিবিএল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাজারের স্বচ্ছতায় এ ধরনের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক।
জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমে বলেন, বিনিয়োগকারীদের অমনিবাস অ্যাকাউন্ট (বিশেষ অ্যাকাউন্ট) বন্ধ হয়েছে। এখন বাজারে স্বচ্ছতা আনতে হলে বিও অ্যাকাউন্টে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কেউ বিদ্যমান আইন পরিপালনে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
জানা গেছে, প্রতি বছর ৩০ জুনের মধ্যে এই ফি সিডিবিএলে জমা দিতে হয়। এ বছর ব্রোকারেজ হাউসগুলো বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের সক্রিয়তা বিবেচনা করে বছরের বিভিন্ন সময়ে অ্যাকাউন্ট বাতিল করে। আর নবায়ন দিতে ব্যর্থ হওয়ায় জুনে বেশির ভাগ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়। গত ১১ জুন শেয়ারবাজারে মোট বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ২৮ লাখ ৩৫ হাজার। বর্তমানে তা ২৭ লাখ ২১ হাজারে নেমে এসেছে। এর মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীর ২৫ লাখ ৪৮ হাজার, প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক লাখ ৬০ হাজার এবং বিভিন্ন কোম্পানি ১৩ হাজার ২৩০টি।
তবে সিডিবিএল সূত্র বলছে, ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দেয়া হলেও অলিখিতভাবে আরও কিছু দিন সময় রয়েছে। কিছু হাউস এখনও তালিকা পাঠানো অব্যাহত রেখেছে। ফলে অ্যাকাউন্ট বাতিলের সংখ্যা আরও বাড়বে। গত বছর এ প্রক্রিয়ায় তারা দুই লাখ বিও অ্যাকাউন্ট বাতিল করেছিল।
তবে যেসব অ্যাকাউন্টে শেয়ার আছে, অথবা টাকা জমা আছে, ওই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেয়া হয়। এ ছাড়া বেশ কিছু হাউস অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য সিকিউরিটি ডিপোজিট বা জামানত জমা দিয়েছে। ওইসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়নি।