দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

নদীর জায়গা কেউ অবৈধভাবে দখল করে উন্নয়নের সুযোগ পাবে না

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নদীর জায়গা কেউ অবৈধভাবে দখল করে উন্নয়নের সুযোগ পাবে না। নদী তীরের জায়গা দখলরোধে সরকার সঠিক পথে এগোচ্ছে।

মঙ্গলবার ঢাকার শ্যামপুরে বিআইডব্লিউটিএ’র ভাসমান ডক পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বিআইডব্লিউটিএ’র কার্যক্রমে হাইকোর্ট সন্তুষ্ট এবং দেশবাসীও সন্তুষ্ট। এ উচ্ছেদ কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে কাজ করা হবে। নদী তীরের সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে। নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিতে চাই।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিআইডব্লিউটিএ’র ভাসমান ডকটি ১৯৬৭ সালে জার্মানিতে নির্মাণ করা হয় এবং ১৯৬৮ সালে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। ভাসমান ডকটিতে একটি ৫ টন ক্ষমতা সম্পন্ন ক্রেন, দু’টি ১৫০ কেভিএ জেনারেটর, ৪টি ক্যাপস্টান রয়েছে। জলযান ডকিংয়ের পর মেরামত কাজ করার জন্য ১৩টি ওয়েল্ডিং রেগুলেটর রয়েছে। ডকটিতে যেকোনো জলযানের আন্ডার ও ওয়াটার অংশ এবং প্রপালশন ইউনিটসহ যেকোনো অংশের মেরামত কাজ করা খুবই সুবিধাজনক। ৮০০ টন পর্যন্ত ওজনের যেকোনো ফ্লোটিং স্ট্রাকচার যার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ভাসমান ডকের রানওয়ের বেশি নয় সেসব জাহাজ, ড্রেজার, বার্জ পন্টুন ইত্যাদি ভাসমান ডকে ডকিং এবং আন-ডকিং করা যায়।

ভাসমান ডকে বিআইডব্লিউটিএ’র এবং অন্যান্য সংস্থার জলযানের জরুরি মেরামত কাজ সম্পন্ন করা হয়। প্রয়োজনে ভাসমান ডকটি মুভ করে অন্যস্থানেও জরুরি মেরামত কাজ করতে সক্ষম। ভাসমান ডকটি ২০০২ সালে বরিশাল থেকে নিয়ে এসে ঢাকার শ্যামপুরে স্থাপন করা হয়। ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এ ডকটিতে ৭৫টি জলযান ডকিং এবং আন-ডকিং করা হয়েছে। ভাসমান ডকটি বিআইডব্লিউটিএ’র তথা বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

এদিন শ্যামপুরে ভাসমান ডকে বিআইডব্লিউটিএ’র জাহাজ ‘ধ্রুবতারা’এর আনডকিং করা হয়। ধ্রুবতারা জাহাজ দিয়ে অভ্যন্তরীণ ও উপকূলিয় নৌপথের বিভিন্ন রুটে নির্বিঘ্নে জাহাজ চলাচলের জন্য বয়া-বিকন স্থাপন ও প্রতিস্থাপনের কাজ করা হয়ে থাকে।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close