দেশজুড়ে
নকল মুদ্রাকে মহামূল্যবান বলে কোটি টাকায় বিক্রি
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ প্রাচীন কালের নকল ধাতব মুদ্রা ও ধাতব পদার্থ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া আর্ন্তজাতিক প্রতারক চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়ার ডিবি পুলিশ। বুধবার দুপুরে ডিবির পরিদর্শক আসলাম আলী এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ভোররাত অব্দি জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই চক্রকে গ্রেপ্তার ও মালামাল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা মালামালের মধ্যে রয়েছে প্রাচীন কালের মুদ্রার নকল ৫৭টি ধাতব মুদ্রা ও ৩টি নকল ধাতব মেটাল।
ডিবি সূত্র জানায়, বগুড়া শহরের মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের সামনে খেলার মাঠ চক্রের হোতা আজিজার রহমানকে (৫৫) গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি শহরের লতিফপুর কলোনী এলাকায়। এরপর আশেপাশের এলাকা থেকে এই চক্রের অন্য সদস্য শিবগঞ্জের সারদীঘি গ্রামের রুহুল আমিন (৫২), গাবতলীর তরফসরতাজ এলাকার আবু নাছেরকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের কাছে পাওয়া যায় ১টি ধাতব পদার্থ। চারকোনা এবং গোলাকৃতি এই পদার্থগুলোতে প্রাচীন রাজাদের রাজদরবার, জাহাজ ও ঘোড়াসরওয়ারির ছবি দেয়া রয়েছে। এটিকে কয়েক হাজার বছরের পুরানো পুরার্কীতি হিসেবে বলে দেশ ও বিদেশে প্রতারণা করা হতো। এই ৩ জনকে গ্রেপ্তার করার পর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়া গাবতলী উপজেলার পদ্মপাড়া থেকে জহুরুল ইসলাম (৪০), সাইদুর রহমানকে (৫০) গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুইজনের বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার নুরইল শিয়ালী গ্রামে। এদের কাছে পাওয়া যায় ৫৭টি প্রাচীন ধাতব মুদ্রা।
এরপর পর্যায়ক্রমে প্রতারক চক্রের অন্যতম সদস্য জয়পুরহাটের কালাই বামনডাঙ্গা গ্রামের বাছেদ আলী (৩৮), গাবতলীর পদ্মপাড়ার রোকনদ্দিন (৫০), সদরের শহরদীঘি এলাকার লিটন প্রামানিক (৩৫), শাজাহানপুরের জোরমালা গ্রামের গোলাম রব্বানীকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে দেশে এবং বিদেশে একাধিক চক্রের সাথে তাদের যোগাযোগ রয়েছে। এসব মুদ্রা এবং ধাতব বস্তুকে মহামূল্যবান হিসেবে তারা ক্রেতার কাছে উপস্থাপন করে। পরে কাঙ্খিত মূল্যে সেগুলো বিক্রি করে দেয়। এভাবে তারা কয়েক কোটি টাকা প্রতারণা করে আয় করেছে বলেও স্বীকার করে। এ ব্যাপারে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
/আরএম