ধামরাইয়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দিলো স্ত্রী

ধামরাই প্রতিবেদকঃ ঢাকার ধামরাইয়ে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগী ইউসুফের স্বজনরা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এর আগে সোমবার মধ্য রাতে সোমবাগ ইউনিয়নের কংসপট্টিতে এ ঘটনা ঘটে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত গৃহবধূকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

ভুক্তভোগী ওই স্বামী ইউসুফ আলী (২৭) ধামরাই উপজেলার সোমভাগের কংসপট্টি গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গৃহবধু পারভিন (২৪) একই গ্রামের বাসিন্দা। পাঁচ বছর আগে ভালবেসে তারা বিয়ে করে ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ইউসুফ পেশায় একজন ভ্যানচালক এবং তার স্ত্রী পারভিন স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে কাজ করতো। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হতো। গতকাল যার যার কাজ শেষ করে যযথাসময়ে বাড়ি উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পথে ইউসুফ বাড়ির পাশের দোকানে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে চলে যায়। এ সময় স্ত্রী পারভিনের মোবাইলটি তার সাথে নিয়ে যান। এতে করে পারভিন রাগ করেই বাসায় ফিরে যায়। এ ঘটনার পরে ইউসুফ বাসায় ফিরে এসে পারভিনকে দেখতে না পেয়ে নিকট আত্নীয়দের বাসায় খোজ খবর নিতে শুরু করে।

পরে রাত প্রায় ১০টার দিকে পারভিন ফিরে আসলে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে হাতাহাতি হলে পারভিন ছুড়ি দিয়ে ইউসুফকে আঘাত করে পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি চিৎকারে করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। এ ঘটনার পরে পারভীন পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা ইউসুফকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

ভুক্তভোগী ইউসুফের বরাত দিয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) আব্দুল জলিল জানান, পারভিনের মোবাইলে ২০টাকা ব্যালেন্স ছিল। আড্ডার এক পর্যায়ে ইউসুফ সেই টাকা খরচ করে ফেলেছিল। আর এটাই তার অপরাধ ছিল। মূলত এটা নিয়েই তাদের মাঝে কলহের সৃষ্টি হয়েছিল। যে কারণে এ ঘটনায় সূত্রপাত। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই গৃহবধূকে আটক করার চেষ্টা চলছে।