ধামরাইপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ
ধামরাইয়ে স্কুলছাত্রীকে মুখ বেঁধে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার নাটক
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ধামরাইয়ে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে পালানোর সময় তিন অপহরণকারীকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে ধামরাই থানায় নিয়ে আসা হয়।
আজ দুপুরে আটকদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর পরিবার একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছে। সেই মামলা গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুরের দিকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ নজরুল ইসলাম৷ এর আগে মঙ্গলবার ( ১৮ মে) আনুমানিক রাত তিনটার দিকে ধামরাইয়ের কালামপুর এলাকার পুলিশ চেকপোস্ট থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, ধামরাই উপজেলার আমতা ইউনিয়নের জেঠাইল গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ফজলুল হকের ছেলে শরীফুল ইসলাম শরীফ (২৩) ও তার দুই সহযোগী গুমগ্রাম খেলাবাড়ী এলাকার মোঃ বাবুল হোসেনের ছেলে মোঃ রনি মিয়া (২৬), চৌহাট চড়পাড়া এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে মোঃ সাকিব হোসেন (২৭)।
ভুক্তভোগী উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের পাঁচলক্ষি এলাকার মোঃ আনোয়ার হোসেনের মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে কালামপুর এলাকায় চেকপোস্টে নাইট ডিউটি করার সময় রাত তিনটার দিকে একটি সিএনজির গতি বেশি থাকায় থামানো হয়। তিনজন ছেলের সাথে একজন মেয়ে দেখে সন্দেহ হলে তাদের থানায় আনলে জানা যায় ওই ছাত্রীকে তারা অপহরণ করেছে। ছেলেদের এবং মেয়ের পরিবারকে খবর দেয়া হলে ছেলের পরিবার না আসলেও মেয়ের পরিবার থানায় এসে ওই তিন অপহরণকারীর বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পরে আজ দুপুরে সেই মামলায় গ্রেপ্তার(শোন এ্যারেস্ট) দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানায়, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী আনুমানিক রাত ১টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হয়। এসময় ঘরের পেছনে পূর্ব থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা শরীফুল ও তার সহযোগী দেশিয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে। পরে একটি সিএনজি করে কালামপুর এলাকায় পুলিশ চেকপোস্টে পৌঁছলে তাদের গতিবিধি সন্দেহ হলে ধামরাই থানার উপ- পরিদর্শক মোঃ নজরুল ইসলাম তাদেরকে আটক করেন। ধামরাই থানার উপ- পরিদর্শক মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাতে কালামপুর এলাকায় নাইট উিউটি করার সময় অপহরণকারীরা একটি সিএনজি নিয়ে আসলে তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে সিএনজিটি থামাই। এরপর সিএনজি থেকে তাদের নামাতেই মুখ বাঁধা অবস্থায় এক কিশোরীকে দেখতে পাই। এতে আরও সন্দেহের মাত্রা বেড়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, মেয়েটি মানসিক রোগী তাই তাকে মুখ বেঁধে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। পরে তাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তারা অপহরণের কথা স্বীকার করে। এবং ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার তাদের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পরে আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং তিনি আরো বলেন, ডাক্তারি পরীক্ষা ও ২২ধারার জবানবন্ধির জন্য ওই ভিকটিমকেও আদালত ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
/আরএম