দেশজুড়েধামরাইপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ

ধামরাইয়ে সেতু নির্মাণে ধীর গতি, দুর্ভোগে গ্রামবাসী

ধামরাই প্রতিবেদক: ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের দেপাশাই এলাকার বংশী নদীর ওপর সেতু নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় প্রায় ২০ গ্রামবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ২০২০ সালের ১০ মার্চ এ সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো শেষ হয়নি। এতে ভোগান্তির স্বীকার হতে হচ্ছে হাজারো মানুষের।

স্থানীয়রা জানান, প্রথমেই সেতুটি খুবই নিচু করে নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলো। যার কারণে নদীতে এই সেতুর নিচ দিয়ে নৌকা নিয়ে চলাচল করা যেতো না। পরে এলাকাবাসী এই বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে চিঠি দিলে নতুন করে নকশা পরিবর্তন করে ১ মিটার অর্থাৎ ৩ ফিট উচু করে সেতুটির নির্মাণ কাজ পুনরায় চালু করেন। কিন্তু কিছুদিন কাজ শুরু করেই আবার কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সেতু নির্মাণ। ফলে ধামরাই উপজেলার দেপাশাই, পশ্চিম দেপাশাই, পূর্ব দেপাশাই, নয়াপাড়া, কারাবিল, গোয়ালদী, কাশিপুর,চাপিল, সোমভাগ, নওগাঁও, শৈলান, ভালুমসহ প্রায় ২০টি গ্রামের কয়েক লাখ মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেপাশাই-নয়াপাড়া বংশী নদীর ওপর ৭৫ মিটার দীর্ঘ এ সেতু নির্মাণের জন্য বৃহত্তম ঢাকা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ও এলজিইডির বাস্তবায়নে চার কোটি ৫৩ লাখ ৭০ হাজার ৬৭৪ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। নকশা জটিলতা ও করোনার কারণ দেখিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদার। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সেতু নির্মাণ। এতে সেতুটির পূর্ব পাশে লোহার রডসহ সেতু নির্মাণের অনেক মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

সোমভাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাহার আলী বলেন, দেপাশাই-নয়াপাড়া বংশী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ না হওয়ায় ধামরাই উপজেলার দেপাশাই, পশ্চিম দেপাশাই, পূর্ব দেপাশাই, নয়াপাড়া, কারাবিল, গোয়ালদী, কাশিপুর, সোমভাগ, নওগাঁও, শৈলান, ভালুমসহ প্রায় ২০টি গ্রামের কয়েক লাখ মানুষকে ধামরাই সদর ও ঢাকায় যাতায়াতের জন্য প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। এ সেতুর জন্য এসব এলাকার মানুষকে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে সেতুটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নুনা ট্রেডার্স-ফাস্টবিল্ড জেভির প্রকল্প পরিচালক সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, এলাকাবাসী সেতুর উচ্চতা কম হওয়ার বিষয় নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ করায় নকশা জটিলতা ও করোনার কারণে সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। তবে খুব শিগগির সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

ধামরাই উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুল হক বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণেই সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারকে সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত সময়ের মধ্যেই শেষ করার জন্য কয়েক দফায় চিঠি দেওয়া হলেও তারা নানা কারণ দেখিয়ে কাজ বন্ধ রেখেছেন। এ বিষয়ে খুব শিগগির সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ঠিকাদার নতুন করে সাব-কন্টাক দিয়েছেন বিষয়টি আমি জানি না।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close