ধামরাইয়ে রথযাত্রা স্থগিত, সীমিত পরিসরে চলছে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা (ভিডিও)

ধামরাই প্রতিবেদক: রঙ্গিন সাজে সাজলেও ধামরাইয়ের ঐহিত্যবাহী রথ টানের মধ্য দিয়ে যশোমাধব এবার যাবে না শ্বশুর বাড়ি। হাজার হাজার মানুষের উৎসব-উদ্দীপনায় রথ টানের মাধ্যমে পৌছে দেয়ার যে রীতি, অদৃশ্য শত্রু কাছে বাঁধা পড়েছে সেই গতি। ধামরাইয়ের প্রায় ৪শত বছরের ঐতিহ্য হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই দিনে যাশমাধবদের রথটান ঘিরে থাকে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষের মিলন মেলা। দেশে-বিদেশ থেকে ভক্ত অনুরাগীরা ছুটে আসে পূণ্যের আশায়। তবে করোনার প্রভাবে আজ অনেকটাই নিশ্চুপ নিঃশব্দে পালন হচ্ছে দিনটি। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শেষে সামাজিক দূরত্ব মেনে সীমিত পরিসরে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই ধামরাইয়ের যশোমাধবের মন্দিরে সারাদিন থাকছে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান। দেশের সর্ববৃহৎ ধামরাইয়ের রথযাত্রাও হাজার হাজার মানুষের সমাগম ও উৎসব এড়িয়ে গুটি কয়েক পূজারীর উপস্থিতিতে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা।

যশোমাধবের পূজা কমিটির সদস্য ও পূজারী মানিক লাল গোস্বামী জানান, রথ টান না হলেও, ভক্ত-অনুরাগীদের ছাড়াই পূজারীরা যশোমাধবের রথে পূজার আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন। আগামীদিনের জন্য দেবতার কছে প্রার্থনা করেন।

ভক্তরা জানান, রথ টানার সময় হাজার হাজার নর-নারীর উলুধ্বনির সেই আনন্দঘন মূহূর্ত নেই। অতৃপ্ত মন নিয়ে ভক্তরা ছুটে যাচ্ছেন মন্দিরে। পূণ্যের আশায় ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দেবতার জন্য চিনি কলা তুলে দিচ্ছেন পূজারীর হাতে।

শিশুরা জানায়, মাসব্যাপী উৎসবের মেলা নেই। দেখা যাবে না রথের টান। তাই আমাদের মন ভালো নেই। এবার আত্নীয়-স্বজনরাও আসবে না। তাদের সঙ্গে দেখা হবে না।

এ বিষয়ে ধামরাই যশোমাধব রথযাত্রা উৎযাপন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নন্দ গোপাল জানান, অপেক্ষায় থাকলেও, আগামীর প্রত্যাশায় ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, যাতে পৃথিবীতে সুখ শান্তি বিরাজ করে।

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে পাক বাহিনী রথ পুড়িয়ে দিলে সে বছর ১ম বার ধামরাইয়ের এই ৪শ বছরের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা উৎসব আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এবার করোনা ভাইরাসের কারনে ২য় বারের মতো রথযাত্রা উৎসব আয়োজন স্থগিত করা হলো।

ভিডিও দেখুন: