ধামরাইস্থানীয় সংবাদ
ধামরাইয়ে বসত ঘরে ৩৫টি গোখরা সাপের বাচ্চা
ধামরাই প্রতিবেদক: ধামরাইয়ের কালামপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালের পাশে রশিদ মিয়ার বাড়ি। রশিদসহ ওই বাড়ির কয়েকজন ভাড়াটিয়া না জেনে দীর্ঘদিন ধরে সাপের সঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন।
জানা যায়, আব্দুর রশিদের বাড়ির বারান্দায় শুক্রবার (১০ জুলাই) একটি গোখরা সাপের বাচ্চা খেলছিল। এসময় বাড়ির ভাড়াটিয়া জহিরুল ইসলাম দেখে তা মেরে ফেলে। এরপর আরও একটি বাচ্চা আসে। তাকেও মারা হয়। পরে পাশের ভাড়াটিয়া আফজাল শরীফ বাড়ির মালিক রশিদসহ অনেকেই বারান্দা ও ঘরের প্লাস্টার খোঁড়া শুরু করে। খোঁড়ার শুরুতেই বের হয়ে আসে একে একে ৩৫টি গোখরা সাপের বাচ্চা। কিন্তু এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বড় সাপদের।
ভাড়াটিয়া জহিরুল ইসলাম ও আফজাল শরীফ জানান, এখন আমরা ওই বাড়িতে থাকতেই ভয় পাচ্ছি। গত বছর বর্ষার সময় ধমরাইয়ের ভালুম গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে রবিউল করিমের বসত ঘরের একটি গর্তের মুখে সাপের খোলস দেখতে পান। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মাটি খুঁড়লে গর্ত থেকে একে একে বেরিয়ে আসে ২৯টি গোখরা সাপ।
দুই বছর আগেও ধামরাইয়ের শোলধন গ্রামের মৃত সফি উদ্দিনের স্ত্রী মাছেলা বেগমের বসত ঘর থেকে ৫১টি, কালামপুর গ্রামের আরফান আলীর ঘর থেকে ১৯টি, পাল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষ থেকে শতাধিক ও ধামরাই থানা পুলিশ কোয়াটার থেকে দুটিসহ দুই শতাধিক বড় গোখরা সাপ পিটিয়ে মারা হয় এবং আড়াই শতাধিক ডিমও ধ্বংস করা হয়েছিল। ধামরাইয়ে সাপের কামড়ে মারা গেছে সর্পমানব নামে খ্যাত আতুল্লাচর গ্রামের রাজুসহ কয়েকজন।
এলাকাবাসীর জানান, গ্রামে সাপে কামড়ালে ঝাড়-ফুঁক ছাড়া কোন চিকিৎসা দিতে না পারায় মারা যাচ্ছে অনেকে। আর গ্রামের মানুষকেই সাপে বেশি কামড়ায় তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপের কামড়ানোর ঔষধ রাখার দরকার।