ধামরাইবিশেষ প্রতিবেদনস্থানীয় সংবাদ
ধামরাইয়ে গ্রামবাসীর টাকায় তৈরি হচ্ছে সেতু
ধামরাই প্রতিবেদক: ধামরাই উপজেলার গাঙ্গুটিয়া বাজার কমিটি,স্থানীয় লোকজন এবং মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার স্থানীয় জনগণ একত্রিত হয়ে তৈরি করতে যাচ্ছেন ধামরাই – সাটুরিয়া সংযুক্ত গাজী খালি নদীর উপর স্বপ্নের মৈত্রী সেতু। যা স্বাধীনতার পর থেকে লোকজন নৌকায় করে এবং বাঁশের সাকু দিয়ে নদী পারাপার হতো। কষ্টের অবসান হতে চলেছে এবার। দুই উপজেলার স্থানীয়দের খরচে নির্মাণ করা হচ্ছে ধামরাই- সাটুরিয়া এই মৈত্রী সেতু ।
সরেজমিনে দেখা যায়, গাংগুটিয়া,গাবরপাড়া, দত্ত নালাই, অর্জুননালাই, বড় নালাই, গওলা, ব্রাহ্মণবাড়ি, কলাসুর, মহিষালোহা, মালসিসহ আরো কয়েক গ্রামের মানুষ এখান দিয়ে যাতায়াত করে। দেশ স্বাধীনের আগ থেকেই দুই উপজেলার প্রায় ২০ টি গ্রামের লোকজন এই গাজীখালি নদীর উপর দিয়ে যাতায়াত করতো। তখন একমাত্র উপায় ছিল খেয়া নৌকা। অপেক্ষা করতে হতো ঘন্টার পর ঘন্টা। পরবর্তীতে দুই পাড়ের লোকজন বাঁশ দিয়ে প্রতিবছর সেতু তৈরি করে যাতায়াত করতো।
কিন্তু প্রতিবছরই সেই বাঁশ খুটির সেতু নষ্ট হয়ে যেত। আবার নতুন করে তৈরি করা হতো সেই বাঁশের সেতু। এতে প্রায় ৭০ হাজার টাকার মতো খরচ হতো। কিন্তু এবার আর অস্থায়ী নয় লোহার পাত দিয়ে সেতু তৈরি করা হচ্ছে। স্থানীয়রা মিলে দুই উপজেলার প্রায় ২০ টি গ্রামের লোকজন তাদের নিজস্ব অর্থ দিয়ে স্থায়ীভাবে তৈরি করছেন লোহার পাতের সেতু। এতে স্থায়ীভাবে তাদের কষ্ট অবসান হতে চলছে। সেতুর কাজ প্রায় শেষ।
সাটুরিয়া সদর ইউনিয়ন এবং ধামরাই উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নসহ আশ পাশের প্রায় ২০ হাজার মানুষের নিয়মিত যাতায়াতের পথ এটি। এজন্য দুই উপজেলার মানুষের যাতায়াতে কষ্ট লাঘব করার লক্ষে এ ব্রিজের নির্মাণ ব্যয় বহন করছেন স্থানীয়রা। ব্রিজটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা। ব্রিজটি ৬ ফুট প্রশস্থ ও ১৪০ ফুট লম্বা করে তৈরি করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, যেহেতু ধামরাই ও সাটুরিয়া উপজেলার সংযোগ এই ব্রিজটি। তাই দুই এলাকার লোকজন মিলে টাকা উঠিয়ে আমরা ব্রিজটি নির্মাণ করিতেছি। দীর্ঘদিনের কষ্টের অবসান হবে যদি ব্রিজটি নির্মাণ কাজ শেষ হয়। আগে বাঁশের ব্রিজ দিয়ে, নৌকা দিয়ে নদী পার হতাম। কিন্তু এবার এলাকার লোকজনের কাছ থেকে টাকা উঠিয়ে ষ্ট্রিলের ব্রিজ তৈরি করছি। যা দীর্ঘদিন থাকবে। মানুষের ভোগান্তিরও শেষ হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন রুবেল বলেন, কোন সরকারি অনুদান নয় দুই পাড়ের লোকজনের নিজস্ব অর্থ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ষ্টিলের সেতুটি। এতে দীর্ঘদিনের কষ্ট লাগব হবে।
এ বিষয়ে গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের মোল্লা বলেন, দীর্ঘদিন মানুষ খেয়া নৌকা, পরবর্তীতে বাঁশের সাকু দিয়ে নদী পার হতো।এখন স্থানীয় লোকজন, আমিসহ সকলেই টাকা উঠিয়ে ষ্টিলের ব্রিজটি করা হচ্ছে। এতে মানুষের দীর্ঘিদিনের কষ্ট লাগব হবে।