দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

ধর্ষণের পর হত্যা, মেডিকেল রিপোর্টে ‘দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু’

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: পটুয়াখালীতে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা। অথচ মেডিকেল রিপোর্টে বলা হয়েছে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু। ধর্ষণ ও হত্যা মামলার এক আসামি হাইকোর্টে জামিন নিতে আসলে ধরা পড়ে মেডিকেল রিপোর্ট বদলে দেয়ার বিষয়টি। এ ঘটনায় পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রভাব খাটিয়ে ডাক্তারি প্রতিবেদন পাল্টে নেয়ার ঘটনা বেড়েছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবেন ভুক্তভোগীরা।

ধর্ষণ মামলা প্রমাণে ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্টকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। রিপোর্ট একটু এদিক-সেদিক করলেই আইনের ফাঁক গলে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ পান আসামিরা।

পটুয়াখালীর আলোচিত সীমা ধর্ষণ এবং হত্যা মামলায় মেডিকেল রিপোর্ট টেম্পারিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। রিপোর্টে ধর্ষণ এবং শ্বাসরোধের আলামত পাওয়ার কথা বলা হলেও একে দুর্ঘটনাবশত হত্যা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বুধবার পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। পরে তিনিসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ বলেন, ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে, সেখানে প্রতিবেদনে দুর্ঘটনাজনিত কারণে মৃত্যু বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আদালত বলেছেন, এটা হতে পারে না। এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এজন্য তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের ঘটনা বেড়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ধর্ষণ মামলার আসামিদের উদ্দেশ্য থাকে টাকা-পয়সা দিয়ে প্রতিবেদন বদলে দেয়া। এরকম হচ্ছে। চিকিৎসক যদি সৎ না হন তবে এই ধরনের সমস্যা থেকেই যায়।

ধর্ষণের এক মামলায় সাক্ষী দেয়ায় ১৩ বছরের সীমাকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে গত জানুয়ারি মাসে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।(সময়টিভি)

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close