দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
ধর্মের অপব্যবহার করে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা করতে না পারে
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, ধর্মের অপব্যবহার করে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে।
বড়দিন উপলক্ষে বুধবার (২৫ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ধর্ম আমাদের আলোর পথ দেখায় এবং অন্যায়, অবিচার ও অন্ধকার থেকে দূরে রাখে…। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, যাতে কেউ এই ধর্মের অপব্যবহার বা ভুল ব্যাখ্যা করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে।’
রাষ্ট্রপতি বাবা-মা’দের পাশাপাশি অভিভাবকদের আরো ইতিবাচক ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান, যাতে কেউ বিশেষ করে যুব সমাজ বিপথে চলে না যায়।
বাংলাদেশকে শান্তি ও সমৃদ্ধির দেশ আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের নিরলস প্রচেষ্টায় এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।
এসময় তিনি ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ এবং ২০২১ সালে দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে দেশবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে শিল্পীরা বড়দিনের গান পরিবেশন করবেন। পরে রাষ্ট্রপতি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সাথে নিয়ে বড়দিনের কেক কাটবেন।
প্রসঙ্গত, যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের মানুষও আজ বড়দিন উপযাপন করছে।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচয়ে বড় ধর্মীয় আয়োজন বড়দিন হলো পুনর্জন্ম, নতুন শুরু, ক্ষমা ও শান্তি এবং ঈশ্বর ও মানুষের সম্পর্কের নবজীবন দানের উৎসব।
রঙিন বাতি দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো, বিশেষ প্রার্থনা, শিশুদের মাঝে উপহার বিতরণ এবং স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ এ উৎসবের মূল অনুষঙ্গ। এদিন গির্জায় প্রার্থনা শুরু ও শেষের পর গাওয়া হয় বড়দিনের বিশেষ গান ও বন্দনা সঙ্গীত।
/এনএ