স্বাস্থ্য
দেহের মারাত্মক জীবাণু ধ্বংসে সক্ষম তেঁতুল পাতা
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ তেঁতুলের পাশাপাশি এর বীজের যে উপকারিতা রয়েছে সে কথা অনেকেই জানেন। এর রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক শক্তি। কিন্তু তেঁতুল পাতারও যে রয়েছে নানা উপকারিতা তা কি জানা আছে আপনার?
সম্প্রতি এক গবেষণায় এর উপকারিতা সম্পর্কে জানা গেছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ধীরে ধীরে ওষুধ-প্রতিরোধী হয়ে উঠছে অনেক ব্যাকটেরিয়া। আর তাই সংক্রমণ ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। সবকিছু মিলিয়ে নিত্যনতুন ওষুধের খোঁজ চালাচ্ছিলেন গবেষকরা। সেই খোঁজে নেমেই তারা জানতে পারলেন তেঁতুল পাতার রয়েছে এমন অ্যান্টিবায়োটিক শক্তি যা দিয়ে মারাত্মক জীবাণু স্ট্যাফ-অরিয়াসকেও ধ্বংস করা সম্ভব।
আন্তর্জাতিক জার্নাল প্রকাশনা গোষ্ঠী ‘স্প্রিঞ্জার নেচার’ প্রকাশিত ‘বিএমসি কমপ্লিমেন্টারি অ্যান্ড অল্টারনেটিভ মেডিসিন’ নামের বিখ্যাত বিজ্ঞান পত্রিকায় এই গবেষণাপত্রটি ছাপা হয়েছে।
ভারতের বেলগাছিয়ার রাজ্য প্রাণি ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি ও টক্সিকোলজি বিভাগের অধ্যাপক তাপস কুমার সরের তত্ত্বাবধানে এই গবেষণা করা হয়। এতে যুক্ত ছিলেন ১০ জন গবেষক ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক সিদ্ধার্থ জোয়ারদার।
গবেষকরা খরগোশের শরীরে কৃত্রিমভাবে সেপটিক আর্থ্রাইটিসের জন্ম দেন। এরপর তার দেহে প্রয়োগ করেন ইথাইল অ্যালকোহলের সঙ্গে তেঁতুল পাতার মিশ্রণের নির্যাস। গবেষক দলের প্রধান তাপস বলেন, খরগোশের ওজনের অনুপাতে ৫০০ ও ১০০০ মিলিগ্রাম প্রতি কিলোগ্রাম ওজন হিসেবে সেই নির্যাস দুই সপ্তাহ প্রয়োগ করা হয়। এতে দেখা যায় সংক্রমণ সমূলে বিনাশ হয়েছে এবং তা কোনোপ্রকার তাৎপর্যপূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই।
সবকিছু মিলিয়ে চিকিৎসকরা মনে করছেন, তেঁতুল পাতার নির্যাস ভবিষ্যতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ সারাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
/আরকে