দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম
দেশে রুশ টিকার জরুরি অনুমোদনের সুপারিশ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ রাশিয়ার করোনাভাইরাসের টিকা ‘স্পুটনিক ফাইভ’ জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকালে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এক সভার এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
এর আগে গত শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানান, রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক-৫ দেশেই উৎপাদনের জন্য মস্কো-ঢাকা সম্মত হয়েছে। চলছে চীনা ভ্যাকসিন আনার আলাপ-আলোচনাও।
তিনি বলেন, দেশে টিকা উৎপাদন করতে রাশিয়ার প্রস্তাবে আমরা একমত হয়েছি। কারণ আমরা সেটা তৃতীয় দেশেও বিক্রি করতে পারব।
উল্লেখ্য, অক্সফোর্ডের তিন কোটি ডোজ টিকা আনতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে গত বছরের ৫ নভেম্বর চুক্তি হয়েছিল বাংলাদেশের। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে ৩ কোটি ডোজ টিকা রফতানি করার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত টিকা এসেছে মোট এক কেটি দুই লাখ ডোজ। এর মধ্যে ভারত সরকারের উপহার হিসেবে গত ২১ জানুয়ারি প্রথমে আসে ২০ লাখ ডোজ। সরকারের অর্থে কেনা টিকার প্রথম চালানে ২৫ জানুয়ারি আসে ৫০ লাখ ডোজ, ফেব্রুয়ারি মাসের ২৩ তারিখ আসে আরও ২০ লাখ ডোজ এবং সর্বশেষ গত ২৬ মার্চ আসে ১২ লাখ ডোজ। অর্থাৎ, ভারত থেকে কেনা ও উপহার মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট টিকা এসেছে এক কোটি দুই লাখ ডোজ।
দেশে গত সাত ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। গত ৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয় টিকার দ্বিতীয় ডোজ। তবে ভারত থেকে গত ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য চুক্তির ৩০ লাখ এবং মার্চ মাসের ৫০ লাখ- অর্থাৎ চুক্তির ৮০ লাখ টিকা এখনও দেশে আসেনি। এপ্রিল মাসে টিকা আসার সম্ভাবনা এখনও পর্যন্ত নেই।
স্বাস্থ অধিদফতরের তথ্যমতে, দেশে এখন ৪৯ লাখের মতো টিকা মজুত রয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ নেয়া বাকি রয়েছে প্রায় ৪৩ লাখ ৪৭ হাজার ৪৮১ ডোজ। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়া অব্যাহত থাকলে মজুত ফুরিয়ে যাবে আগামী একমাসের মধ্যে।
/এন এইচ