ভ্রমন
দেশে প্রথম চালু হলো ট্যুরিস্ট বাস সার্ভিস
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ দেশে এই প্রথম চালু হলো ট্যুরিস্ট বাস সার্ভিস। পর্যটন নগরী সিলেটে চালু করা হয়েছে এই বাস সার্ভিস। দেশের ইতিহাসে সিলেটই প্রথম পর্যটন শহর যেখানে ট্যুরিস্টদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধাসহ আলাদা বাস সার্ভিস চালু হলো।
এসব বাসে রয়েছে এসি ও ওয়াইফাই। বাসের কোনোটিতে ২২টি, কোনোটিতে ২৪টি করে আসন রয়েছে। সিলেট থেকে বিভিন্ন পর্যটন স্পটে যাত্রীদের নিয়ে যাবে এ সব বাস। বর্তমানে দু’টি বাস দিয়ে এই সার্ভিস চালু করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে আরও ছয়টি বাস আনা হবে।
মঙ্গলবার সিলেটের নগরীর জিন্দাবাজারে এ বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এটিএম শোয়েব, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ ও সিলেট ট্যুরস্ অ্যান্ড ট্রাভেলস্ সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, সিলেটে ট্যুরিস্ট বাস চালুর মধ্য দিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হলো। এর অংশ হতে পেরে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করছি। পর্যটন বিভিন্ন দেশের আয়ের অন্যতম উৎস। আমাদের পাশের দেশ থাইল্যান্ডের জিডিপির ২৩ শতাংশ আসে পর্যটনখাত থেকে। কিন্তু আমাদের জিডিপিতে পর্যটনের অবদান মাত্র ০ দশমিক ০০৫ শতাংশ। দেশে পর্যটন বিকাশের যথেষ্ট সুযোগ আছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে অবকাঠামোগত দিক ঠিক না থাকায় আমরা উন্নতি করতে পারিনি। তবে সুখের বিষয় হচ্ছে, সিলেটে দু’টি ট্যুরিস্ট বাস আসছে। সিলেটে আরেকটি জিনিস করা হয়েছে, পুরো সিলেট নগরীতে ওয়াইফাই চালু করছি। কিছুদিনের মধ্যে মানুষ এর সুবিধা পাবে। তখন পর্যটকদের জন্যও সুবিধা হবে।
পর্যটন শিল্পে বড় হাতিয়ার হচ্ছে অবকাঠামো এমনটি উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হোটেল, বাস, রেস্তোরাঁ এগুলো অবকাঠামোর সঙ্গে জড়িত। দিনে দিনে এগুলো তৈরি হচ্ছে, আরও ভালো হবে। এক্ষেত্রে আমার যতোটুকু সাহায্য প্রয়োজন, আমি অবশ্যই করবো। আমরা একসঙ্গে কাজ করে সিলেটকে সত্যিকারের পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
/আরকে