দেশজুড়ে

দেশের অর্থনীতি সিঙ্গাপুরের চেয়েও শক্তিশালী: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ এখন সিঙ্গাপুরের চেয়েও শক্তিশালী। ব্যাংকে টাকার কোনো সমস্যা নেই। টাকা আছে বলেই সেবা খাত, সামাজিক নিরাপত্তা, অবকাঠামো খাতে ব্যাপক উন্নয়নের কাজ চলছে।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনা ও চলতি সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চীন থেকে যেসব কাঁচামাল আসত, এখন তার বিকল্প বাজার খোঁজা হচ্ছে।

আজ একাদশ সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশন শেষ হয়। এর আগে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়।

বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, দেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে সিঙ্গাপুরের চেয়েও শক্তিশালী অবস্থানে আছে, সেটা তিনি দাবি করতে পারেন। সিঙ্গাপুর ছোট দেশ, জনসংখ্যাও খুব কম। সেখানে শৃঙ্খলা আছে। সিঙ্গাপুরে বিরোধী দল বা অন্য কোনো কিছু নেই। একটা পত্রিকা, সরকার দ্বারা চলে। সরকারের নিয়ন্ত্রণে পত্রিকাগুলো, একটা কোম্পানির পত্রিকা চলবে। সেখানকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ যে রকম, তাতে উন্নয়ন করাটা অনেক সহজ। আর বাংলাদেশ আয়তনে ছোট কিন্তু জনসংখ্যা অনেক বেশি। এখানে প্রতিনিয়ত অগ্নিসন্ত্রাস, খুনখারাবি, অত্যাচার—এগুলো মোকাবিলা করতে হয়। এখানে উন্নয়ন করা কঠিন কাজ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগ আসছে। দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা। বাংলাদেশের অর্থনীতির বিষয়ে ভারত বা পাকিস্তানের চিন্তাবিদ, অর্থনীতিবিদেরা যা বলছেন, সেটা শুনলে বোঝা যাবে বাংলাদেশ কোথায় আছে। শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, বাংলাদেশ দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে।

সরকারের কাছে টাকা নেই—বিরোধীদলীয় নেতার এমন অভিযোগের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের রিজার্ভ এখন ৩২ বিলিয়নের ওপরে। চিন্তার কিছু নেই। যে রিজার্ভ আছে, তাতে ছয় মাসের খাদ্য আনা যাবে। রেমিট্যান্স এসেছে ১৮ বিলিয়ন ডলার। ব্যাংকে টাকার কোনো অসুবিধা নেই, যথেষ্ট টাকা রয়েছে। সেবা খাত, অবকাঠামোসহ প্রতিটি খাতে ব্যাপকভাবে উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন, টাকা যদি না-ই থাকত, তাহলে এগুলো কী করে হতো?

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেতা যেটা বলেছেন, তাতে মনে হয় একেবারেই হতাশাব্যঞ্জক চিত্র। তাঁকে বলব, তিনি রাষ্ট্রপতির ভাষণটা ভালো করে পড়েন, তাহলে এই হতাশাটা তাঁর আর থাকবে না।’

শেখ হাসিনা বলেন, চীন থেকে যেসব কাঁচামাল আসত, তা নিয়ে একটু অসুবিধা হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকার যথেষ্ট সচেতন। যত দামই হোক, বিকল্প পথ নেওয়া হচ্ছে। ওষুধশিল্পের কাঁচামাল থেকে শুরু করে অন্যান্য জিনিস যে দেশেই পাওয়া যায়, সেগুলো আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close