রাজস্বশিল্প-বানিজ্য
দেশের অর্থনীতির চাকা, মেগাপ্রকল্পই এখন বড় ভরসা
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: প্রণোদনায় যাচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ, রাজস্ব আদায়েও থেকে যাচ্ছে বড় ধরনের ঘাটতি। এ অবস্থায় যোগাযোগ অবকাঠামো ও জ্বালানি খাতের মেগা প্রকল্পে অর্থায়নে তৈরি হয়েছে বড় চ্যালেঞ্জ।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনায় বিপর্যস্ত অর্থনীতির মোড় ঘোরাতে বড় ভূমিকা রাখবে মেগাপ্রকল্প। যদিও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বলছে, বাজেটে অন্যান্য প্রকল্পে কাটছাঁট করে মেগা প্রকল্পে প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহ করা হবে।
করোনা ভাইরাসের কারণে চীন থেকে কারখানা সরিয়ে নিচ্ছে সনি, টয়োটাসহ বিশ্বের নামীদামী ব্র্যান্ড। করোনায় বিপর্যস্ত অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে এই সুযোগ নিতে চায় বাংলাদেশ।
বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে সরকার। চলছে পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু রেলসেতু ও মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেলসহ বেশকিছু মেগা প্রকল্পের কাজ। এসব প্রকল্পে অন্যান্য বছর পর্যাপ্ত অর্থছাড় করলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। করোনা সংকটে রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়াবে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা। ফলে চলমান মেগাপ্রকল্পে অর্থ বরাদ্দে হতে পারে কাটছাঁট।
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কিছু মেগা প্রকল্পগুলোকে খুব দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য উদ্যোগ নেয়া জরুরি। অথবা আমরা অপেক্ষাও করতে পারি কিছু প্রকল্প পরে শেষ করা যায় কিনা। যদিও পরিকল্পমন্ত্রণালয় বলছে অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পে অর্থায়নে সংকট হবে না।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, কাউকে কমানো হবে না; এদের অগ্রাধিকার যেমন আগেও ছিল, এখনও আছে।
চাহিদার চেয়ে উৎপাদন সক্ষমতা বেশি থাকায় ৫৭ শতাংশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র অলস পড়ে আছে। যাতে গেল অর্থবছরে ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে সরকার। অথচ গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমে নেই দৃশ্যমান পদক্ষেপ কিংবা অগ্রগতি।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দ্রুত মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা গেলে বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি গতি পাবে অর্থনীতি। (সূত্র; সময়টিভি)