প্রধান শিরোনামব্যাংক-বীমাশিল্প-বানিজ্য
দূর্বল ব্যাংকগুলো একীভূত করার চিন্তা করছে সরকার
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ এবার লোকসানি বা দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার চিন্তা করছে সরকার। এজন্য ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন, দুর্বল প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা তৈরি ও সামগ্রিক পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিশ্লেষকরা জানান, চলতি অর্থবছরের বাজেটে আর্থিক খাতের ব্যাপক সংস্কার ও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের দিক নির্দেশনা দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সেখানে ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফেরাতে একটি কমিশন গঠন ও ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন, অপেক্ষাকৃত দূর্বল ব্যাংকগুলো একীভূত করার কথা বলা হয়।
বাজেটের ঘোষণা অনুযায়ী, লোকসানি বা অপেক্ষাকৃত দূর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পারফরমেন্স মূল্যায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংক খাতের অবস্থা নাজুক। মার্জ করার সময় এসেছে।
আর এটা করা সম্ভব। মার্জ করার দরকার আছে। কারণ এতে গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষা হবে। তিনি বলেন, আমি গভর্নর থাকাকালীন সময় মার্জ করা নিয়ে কিছু গাইড লাইন দিয়ে ছিলাম। এখন কি অবস্থায় আছে জানি না। তার মতে, মার্জ করতে হবে ব্যাংক টু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান টু আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তা হলে সুফল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ভারতে মার্জ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমাদেরকেও ওইদিকে নজর দিতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে নির্দেশনায় বলা হয়, এর প্রাথমিক ধাপ হিসেবে ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক অবস্থা এবং সামগ্রিক পারফরমেন্স মূল্যায়নে একটি প্রতিবেদন তৈরির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংককে। একই সঙ্গে দূর্বল ব্যাংকগুলোর একটি তালিকাও করা হবে। পাশাপাশি বর্তমানে দেশে সুনির্দিষ্টভাবে একীভূতকরণ (মার্জার আইন) না থাকায় ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করা হবে। এ আইন সংশোধন করে ব্যাংক বা নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে মার্জ করার বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে। দূর্বল ব্যাংকের তালিকা প্রণয়ন ও ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধন দুটি কাজই একই সঙ্গে চলবে বলে জানিয়েছে অর্থ বিভাগের সূত্রগুলো।
/আরএম