দেশজুড়ে
দুর্নীতির দায়ে ডিআইজি প্রিজনস পার্থ কারাগারে
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অবহেলায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ডিআইজি প্রিজনস পার্থ গোপাল বণিককে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৯ জুলাই) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।
আসামি পক্ষে আইনজীবী ঢাকা বারের সভাপতি গাজী শাহআলম, সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান খান রচি, আব্দুর রহমান হাওলাদার জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল জামিনের বিরোধিতা করেন।
এরআগে, রবিবার (২৮ জুলাই) বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডির নর্থ রোডের (ভূতের গলি) ২৭-২৮/১ নম্বর বাসার বি/৬ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে ঘুষের ৮০ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার করা হয় পার্থকে। তার বর্তমান কর্মস্থল সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার।
রবিবার (২৮ জুলাই) সকালে সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুপুরে তাকে নিয়ে ঘুষ, দুর্নীতির মাধ্যমে আয় করা টাকা উদ্ধারে অভিযানে বের হয় দুদক টিম। ধানমন্ডির নর্থ রোডের (ভূতের গলি) ২৭-২৮/১ নম্বর বাসার বি/৬ নম্বর ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হয়। পার্থ ও তার স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরাও বসবাস করেন সেখানে। দুদক পার্থর ব্যবহার করা একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম কারাগারের জেলার সোহেল রানা বিশ্বাসকে ময়মনসিংহগামী ট্রেন থেকে ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, আড়াই কোটি টাকার এফডিআর, ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার ব্যাংকের চেক ও ১২ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করে রেলওয়ে পুলিশ। চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে গ্রেফতার হন তিনি। পরে সোহেল রানার বিষয়ে অনুসন্ধানে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের দুর্নীতি নিয়ে নানা তথ্য পায় সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনিরুল আলম। কমিটি সে সময় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের তৎকালীন ডিআইজি প্রিজনস পার্থসহ ৪৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতির তথ্য পায়।
পরে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তাদের সম্পদের হিসাব বিবরণীও চাওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে পার্থ গোপালও সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেন।