দেশজুড়ে
দুই বিদেশি জাহাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করা জাহাজ দুটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সরকার। এ জন্য শীঘ্রই একটি তদন্ত কমিটি ঘোষণা করা হবে। কী উদ্দেশে জাহাজ দুটি জলসীমায় প্রবেশ করেছিল, কমিটি তা খুঁজে দেখবে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় দুটি বিদেশি জাহাজের অনুপ্রবেশ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রইছউল আলম মণ্ডল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব এম খোরশেদ আলমসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, মাছ ধরার দুটি জাহাজ মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করেছিল। তদন্তের মাধ্যমে সত্যতা পাওয়া গেছে। এখানে আন্তঃমন্ত্রণালয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে কাস্টমসের নেতৃত্বে ৭ বা ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করার কথা আলোচনা হয়েছে। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার জন্য আইনগত যেসব ব্যবস্থা রয়েছে, তা নেবে কাস্টমস। কী ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সেটি মন্ত্রণালয়কে জানানোর পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
মৎস্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো মাছ ধরার ট্রলার বা জাহাজ মেরামত করার জন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করতে হলে মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে। সরকারের মতামতের ভিত্তিতেই তারা প্রবেশ করতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাহাজ দুটিতে ক্যামেরুনের পতাকা ছিল। সেটিও তারা নামিয়ে ফেলেছে। এখন চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে কন্টিনেন্টালের জেটিতে রয়েছে। তবে কোন দেশের মালিকানার জাহাজ, তা তদন্তের পরই জানা যাবে। কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, বন্দর কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নষ্ট ইঞ্জিন মেরামতের কথা বলে জাহাজ দুটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। কোন দেশ থেকে এসেছে, সে বিষয়ে ভুয়া তথ্য দিয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে সরকারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি জাহাজে আটজন নাবিক ছিল। জাহাজে আরও কী ছিল, সে বিষয় এখনও পরিষ্কার নয়। তবে কিছু মাছ ধরার জাল ছিল বলে জানা গেছে।
স্থানীয় এজেন্ট ইন্টারমোডাল প্রাইভেট লিমিটেড মেরামতের অজুহাত দেখিয়ে সম্পূর্ণ ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে গত ২১ আগস্ট জাহাজ দুটি জেটিতে প্রবেশ করে। ২৬ আগস্ট বন্দর ত্যাগের কথা জানালেও এখনও জাহাজ দুটি বাংলাদেশি জলসীমা ত্যাগ করেনি।
আইন অনুযায়ী এভাবে জাহাজ আসার সুযোগ নেই। ত্রুটিপূর্ণ এবং সন্দেহযুক্ত কাগজপত্রের ওপর ভিত্তি করে জাহাজ দুটিকে ছাড়পত্র দেওয়ায় জড়িত কাস্টমস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয় সভায়।