আমদানি-রপ্তানীশিল্প-বানিজ্য

দীর্ঘ ১৭ বছর, স্থলপথে বাণিজ্য সুবিধা চালু হয়নি দর্শনা বন্দরে

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ  চুয়াডাঙ্গায় পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর ঘোষণা হয় ২০০২ সালে। এরপর একে একে কেটে গেছে ১৭ বছর। এখনও স্থলপথে বাণিজ্যসুবিধা চালু হয়নি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দরে।

যেখানে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের সুযোগ। প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর সবই আছে। কিন্তু পুরো বিষয়টি আটকে আছে শুধু রাজস্ব বোর্ডের একটি এসআরও সংশোধনের অপেক্ষায়।

বাংলাদেশ ভারতের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসাবে ২০০৮ সাল থেকে চলছে এই মৈত্রী এক্সপ্রেস। এই রেলপথেই চলে পণ্যবাহী ট্রেনও। পাশে দিয়ে গেছে সড়ক পথ। চলে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের নিত্য আসা-যাওয়া।

তবে মুদ্রার ওপিঠে সম্ভাবনার সর্বোচ্চ অবস্থায় থাকার পরও দেড়যুগ ধরে অবহেলায় পড়ে আছে দর্শনা। ২০০২ সালে পূর্ণাঙ্গ স্থল বন্দর ঘোষণা হলেও চালু হয়নি আজও। অথচ একই গেজেটে থাকা অন্য বন্দরগুলো চালু পুরোমাত্রায়।

অবকাঠামোর অভাব নেই। বন্দরের টার্মিনালের জন্য বিশাল জায়গা নির্ধারণ করে রেখেছেন স্থানীয়রাই। কাস্টমস স্টেশন, ইমিগ্রেশন ভব্ন, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আউটপোস্টসহ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য প্রয়োজনীয় সবই আছে। শুধু একটি এসআরও সংশোধন করে রেলবন্দরের পাশে সড়ক শব্দ যোগ করলেই প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠতে পারে দর্শনা বন্দর।

ভারতের অংশেও আছে সব সংস্থার কার্যক্রম। যে এক কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করা প্রয়োজন সেজন্য জমি দিতেও আপত্তি নেই দুপারের মালিকদের। সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাই দিয়েছে ইতিবাচক প্রতিবেদন। দীর্ঘদিন ধরেই তারা নানা মহলে ধর্না দিচ্ছেন বন্দর চালুর জন্য।

দর্শনা পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই তারা নানা মহলে চেষ্টা করা হচ্ছে বন্দর চালুর জন্য।

রাজস্ব বোর্ডের মোশাররফ হোসেন ভুইঁয়া বলেন, শিগগিরই ঘুঁচবে দর্শনাবাসী দেড়যুগের আফসোস। স্থল বন্দর চালুর জন্য জন্য সড়ক বিভাগকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে বলে জানান রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুইঁয়া।

বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী বলেন, এলসিএসের কাজ শুরু করা গেলে যেকোন সময় পন্য আসা সম্ভব। এক থেকে দুই বছরের মধ্যেই বন্দরের কাজ সম্পন্ন হবে বলেও জানান বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান।

দর্শনা বন্দরে স্থলপথে আমদানি-রপ্তানি চালু হলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাই উপকৃত হবেন সবচেয়ে বেশি। দেশের অর্থীতি খাতে বড় ভূমিকা রাখবেন বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close