নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সফল সভাপতি পারভেজ মল্লিক খুব শিগগিরই দেশে ফিরছেন বলে জানা গেছে। তার ঘনিষ্ট সূত্র জানিয়েছে আগামী ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১১ টায় জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছাবেন পারভেজ মল্লিক। সূত্রমতে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, মামলা ও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলের শিকার হয়ে বিগত ২০১০ সালের ২৩ জুন দেশ ছেড়ে লন্ডনে পাড়ি জমান তিনি। প্রবাসে থেকেও বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে পারভেজ মল্লিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। প্রবাসে জনমত গঠন ছাড়াও বাংলাদেশে আওয়ামী অপশাসণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার নিজ এলাকা খুলনার মানুষের পাশে থেকে নানাভাবে শক্তি, সাহস ও সহযোগিতা করেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিস্টরা।
এ প্রসংগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক গালিব ইমতেয়াজ নাহিদ বলেন, ২০১০ সালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আমি গ্রেপ্তার হওয়ার পর তারা বিভিন্নভাবে আমাকে নির্যাতন করে এবং আমাকে দিয়ে পারভেজ মল্লিকের বিরুদ্ধে স্বীকারোক্তি আদায় করার চেষ্টা করে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পারভেজ মল্লিককে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে প্রেপ্তারের নীল নকশা করে বলেও জানান নাহিদ। তিনি আরো বলেন, পারভেজ মল্লিকের সতীর্থ অনেকেই সে সময় গুম ও ক্রস ফায়ারের শিকার হন। এ রকম একটা পরিস্থিতিতে তিনি যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। তবে দীর্ঘ প্রবাস জীবনে এক মুহুর্তের জন্যও পারভেজ মল্লিক বাংলাদেশের নেতাকর্মী ও অনুসারীদের থেকে বিচ্ছিন্ন হননি উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, বিগত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ বিরোধী প্রতিটি আন্দোলনে পারভেজ মল্লিক আমাদের বুদ্ধি, পরামর্শ, সাহস, অর্থ দিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিদেশের মাটিতে থেকেও তিনি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাই ৫ আগস্ট পরবর্তী বিজয়ে পারভেজ মল্লিকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন প্রতিটি জাতীয়তাবাদী চেতনার সৈনিকের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর দেশে ফেরার অনুভুতি জানাতে গিয়ে পারভেজ মল্লিক বলেন, তারুণ্যের অহংকার এবং আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিগত দিনে আমাদের আন্দোলন ছিল মূলত: বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন, গণতন্ত্র পুণ:প্রতিষ্ঠা এবং মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়া। আমাদের প্রাথমিক বিজয় অর্জিত হয়েছে। দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফেরানোর মাধ্যমে আন্দোলনের পূর্ণতা পাবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।