দেশজুড়েপ্রধান শিরোনামশিল্প-বানিজ্য

দাম বাড়ায় বাজার থেকে ডলার উধাও

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: দাম বেড়ে যাওযায় বাজার থেকে হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেছে ডলার। আমদানিকারকরা এলসি খুলতে ব্যাংকের কাছে ধরনা দিলেও ডলার পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে খোলাবাজার থেকে ডলার কিনে দেনা পরিশোধ করছেন কোনো কোনো আমদানিকারক। ডলারের এই সংকট তৈরির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতির দুর্বলতাকে দায়ী করছেন অনেকে।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৮ মে ডলারের দাম ও ঋণের সুদের ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত পালনের অংশ হিসেবে ডলারের দাম ১১০ টাকা থেকে একলাফে সাত টাকা বাড়িয়ে ১১৭ টাকা করা হয়। এতে সরাসরি প্রভাব পড়েছে ব্যাংক ও খোলাবাজারে। ফলে এলসি খোলার ক্ষেত্রে ১২০ টাকা এবং খোলাবাজারে প্রতি ডলারের দাম ১২৫ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

ডলারের দাম একলাফে ৬.৩৬ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় জ্বালানি আমদানির খরচ বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। এতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই চাপ মোকাবেলায় সরকারকে ভিন্ন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমদানিতে সরাসরি ডলারের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে।

এত কিছুর পরও অপ্রয়োজনীয় বিলাসবহুল পণ্য আমদানি বন্ধ করা যাচ্ছে না। কিন্তু ব্যাংকগুলো ডলার সংকটের অজুহাতে প্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি খুলছে না। এমনকি রপ্তানিমুখী পণ্যের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রেও ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে আমরা খোলাবাজার থেকে ডলার কিনছি। এ ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম পড়ছে ১২৪ টাকা পর্যন্ত।

এদিকে ডলারের বিনিময়হার নির্ধারণে ‘ক্রলিং পেগ’ চালুর এক কার্যদিবস পরই মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ডলারের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আন্ত ব্যাংক লেনদেনে ডলারের সর্বোচ্চ যে দর উঠবে, তার সঙ্গে এক টাকা যোগ করে এখন থেকে ডলার বিক্রি করতে পারবে মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে ব্যবসায়ীদের ডলার ক্রয়ের দর উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

গতকাল রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

/এম এম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close