প্রধান শিরোনামবিশ্বজুড়ে
দক্ষিণ কোরিয়ায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ায় জেজু এয়ারের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের কারণ জানিয়েছেন দেশটির স্থানীয় অগ্নিনির্বাপক সংস্থার প্রধান লি জিয়ং হিউন। তিনি বলেছেন, পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগা ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১৭৯-তে পৌঁছেছে।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয়জন ক্রু নিয়ে আসা উড়োজাহাজটি আজ রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৯টার পরপর দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়েতে বিধ্বস্ত হয়।
উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময়কার একটি ভিডিও ফুটেজ অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, অবতরণের সময় বোয়িং ৭৩৭-৮এএস মডেলের উড়োজাহাজটি রানওয়ে ধরে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ সেটিতে আগুন ধরে যায়।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়নহাপ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে, পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগায় ল্যান্ডিং গিয়ারে জটিলতার কারণে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করা হচ্ছে। একটি ছবিতে দেখা গেছে উড়োজাহাজের লেজের অংশে আগুন ধরে গেছে। ওই ছবি দেখে আরও মনে হচ্ছে উড়োজাহাজটি তখন রানওয়ের একপাশে ছিল।
কোরিয়ার সম্প্রচারমাধ্যম এমবিসির একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মুয়ান বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণের পর উড়োজাহাজটির ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। পুরো উড়োজাহাজে আগুন ধরে যাওয়ার আগ মুহূর্তে এই ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।
স্থানীয় অগ্নিনির্বাপক সংস্থার কর্মকর্তা লি হেওন-জি বলেন, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
বিমানবন্দরটি দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান প্রদেশে অবস্থিত। এটা রাজধানী সিউল থেকে প্রায় ২৮৮ কিলোমিটার বা ১৭৯ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে। অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর ৩২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে।